সমকামিতায় জোরাজুরি, নিজ বাসায় লাদেনের হাতে খুন হন ডায়না
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৪
![](https://www.madaripurdorpon.com/media/imgAll/2024March/laden-dayna-20240324214639-2403250952.jpg)
মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘনা ডায়নার (৪৮) পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাদের সবারই রয়েছে বাংলাদেশ-আমেরিকার দ্বৈত নাগরিকত্ব। মাকসুদুর ওরফে ডায়না নিজেও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তারও। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হলেও তিনি বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশেই থাকতেন। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ এলাকায় নিজের একতলা বাড়িতে একার বসবাস ছিল তার।
মাকসুদুর ওরফে ডায়না জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে শারীরিকভাবে পরিবর্তন করেন। এরপর এই রূপান্তরকামী নারী ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়েন সমকামিতায়। তিনি যে বাসায় থাকতেন এর কাছাকাছিই ছিল তার বোন মরিয়মের বাসা। সেই বাসায় গৃহপরিচারকের কাজ করতেন শোয়েব আক্তার লাদেন নামের এক যুবক। এক পর্যায়ে বোনের বাসার গৃহপরিচারক লাদেনের সঙ্গে জোরপূর্বক সমকামিতায় জড়াতে চান ডায়না। পরে তিনি লাদেনের হাতেই খুন হন।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই মরিয়মের বাসায় গৃহপরিচারকের কাজ করতেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাশিঘাটের বাসিন্দা জাহেদ আলীর ছেলে লাদেন। ওই বাসায় কাজ করার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও চালিয়ে যেতেন তিনি। এক দশক আগে সেখানেই বাড়ির মালিক মরিয়মের ভাই মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘনা ডায়নার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ডায়না তখন বোনের বাসার পাশেই গোলাপবাগের একতলা বিশিষ্ট নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন।
ডায়নার বাসায় পানির সমস্যা ছিল। সে কারণে পানি দিয়ে আসতে মাঝেমধ্যেই সেই বাসায় যাওয়া-আসা করতে হতো লাদেনকে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চান ডায়না। তিনি বিভিন্ন সময়ে বোনের বাসা থেকে লাদেনকে ডেকে এনে সমকামিতায় বাধ্য করতেন। লাদেনের নগ্ন ভিডিও ধারণও করতেন। সমকামিতা থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে মরিয়মের বাসার কাজ ছেড়ে দেন লাদেন। চলে যান কদমতলী থানার সাদ্দাম মার্কেট এলাকায়। এরপর বিয়ে করে স্ত্রীসহ সেই এলাকায় বসবাস শুরু করেন।
গোলাপবাগে মরিয়মের বাসার কাজ ছেড়ে আসার পর নতুন পেশা হিসেবে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ বেছে নেন লাদেন। কিন্তু তখনও তার পিছু ছাড়েননি ডায়না। হঠাৎ একদিন ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে লাদেনকে গোলাপবাগের নিজ বাসায় ডেকে নেন ডায়না। এরপর সমকামিতার জন্য জোরাজুরি শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে সেখানেই তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন শোয়েব আক্তার লাদেন।
হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত ডায়নার মামাতো ভাই কাজী জামাল হোসেন (৫৮)। মামলার তদন্ত শেষে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুকিত হাসান। চার্জশিটেই হত্যার নেপথ্যের চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তবে ডায়না সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন তা মানকে নারাজ মামলার বাদী কাজী জামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমার ভাই মুসলিম পরিবারের সন্তান। সে আমেরিকায় একটি স্কুলের শিক্ষক ছিল। ছোটবেলায় আমি তাকে সুন্নতে খতনার সময় ধরে রেখেছিলাম। সে বিয়ে করেছিল। কিছুদিন সংসারও করে। তার চলাফেরা কিছুটা মেয়েলি স্বভাবের হওয়ায় তাকে ক্লীব (পুরুষত্বহীন) লিঙ্গ বলছে পুলিশ। আমার ভাই কখনোই ক্লীব ছিল না। আমি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেবো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আই.ও) মুকিত হাসান বলেন, মামলায় আসামি শোয়েব আক্তার লাদেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মাকসুদুর রহমান ওরফে মেঘনা ডায়না যে সমকামিতায় আসক্ত ছিলেন আসামির জবানবন্দিতে সে তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামি লাদেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নিহত মাকসুদ ওরফে ডায়নার ভাই-বোনসহ পরিবারের লোকজন আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় মামাতো ভাই মামলার বাদী জামাল হোসেন তার ভাইবোনদের সম্পত্তি দেখাশুনা করতেন। ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট জামালের সঙ্গে মাকসুদের সৎ বড় বোন হাসিনা বানুর মোবাইল ফোনে কথা হয়। তখন হাসিনা বানু মাকসুদকে দেখাশোনা করে রাখতে বলেন জামালকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার ১১ দিন পর ২৭ আগস্ট দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে বাদী মাকসুদের বাসায় গিয়ে দরোজায় নক করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে তিনি চলে যান। ওইদিনই বাদী নিজে ও এলাকার স্থানীয় লোকজন বিকেল ৩টার দিকে কক্ষের দরোজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মাকসুদুর ওরফে ডায়নার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের চার্জশিটে আরও উঠে আসে, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট আনুমানিক বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে মাকসুদ ওরফে ডায়না আসামি লাদেনকে ফোন করে তার বাসায় যেতে বলেন। ডায়নার জোরাজুরিতে লাদেন সেই বাসায় যেতে বাধ্য হন। লাদেন বাসায় প্রবেশ করলে ডায়না তাকে রুমে নিয়ে ভেতর থেকে দরোজা বন্ধ করে দেন এবং লাদেনকে জোরপূর্বক খাটের ওপর শুইয়ে দেন। তখন খাটের মাঝ অংশের কাঠ ভেঙে যায়। লাদেন সমকামিতায় রাজি না হলে ডায়না তার অণ্ডকোষ চেপে ধরেন।
এরই এক পর্যায়ে লাদেন খাটের পাশে টেবিলের ওপর রাখা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নাকে আঘাত করলে তিনি তাকে ছেড়ে দেন। তখন আসামি কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে ডায়না আবারও তাকে খাটের ওপর শুইয়ে অণ্ডকোষে কামড় দেন। তখন আসামি হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় ও নাকে-মুখে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে তাকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও জখম করেন।
এক পর্যায়ে ডায়না অজ্ঞান হয়ে খাটের ওপর পরে গেলে আসামি লাদেন ভিকটিমের পকেটে থাকা নগদ তিন হাজার টাকা এবং ঘরে থাকা ইমিটেশনের দুটি চুড়ি ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন ১৭ আগস্ট সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে আসামি পুনরায় ডায়নার বাসায় যান এবং তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে পালিয়ে যান। আসামি শোয়েব আক্তার লাদেন কর্তৃক হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতের ফলে মাকসুদ ওরফে ডায়না মারা যান বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
চার্জশিটে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৮০ ও ৪১১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর গ্রেফতার হয়ে ওই বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি শোয়েব আক্তার লাদেন। সেখানে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
- কোটা আন্দোলনে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান
- কোটা আন্দোলনে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন: ডিবিপ্রধান
- ঘন ঘন প্রস্রাব, সঙ্গে যেসব লক্ষণ কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়
- ইন্টারনেট ছাড়াই সময় কাটান মজার কিছু করে
- গরম ভাতে পাতে রাখুন কাঁঠাল বীজের ভর্তা
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও সেতু ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
- ফোনের রেডিয়েশনের ক্ষতি এড়াতে যা করবেন
- আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি
- আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
- যাত্রাবাড়ীতে সহিংসতার কুশিলব যুবদল নেতা নয়ন
- আবু সাঈদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিল বেরোবি
- সরকার পতনের জন্যই সহিংসতা করেছে বিএনপি-জামায়াত
- সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৭৯ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- ‘মারা যাইনি, সুস্থ আছি’ মৃত্যুর গুজবে নায়ক রুবেল
- উত্তরায় যুবলীগ কর্মীকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির
- দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
- আনিকার মারা যাওয়ার খবরটি গুজব, আনিকা সুস্থ আছেন
- নাহিদসহ তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
- নাশকতা মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ২৯০
- উপাচার্যসহ ২০ জনকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা
- নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে : বাহাউদ্দিন নাছিম
- আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল
- সাগরে লঘুচাপ, যেসব বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে : কাদের
- রেমিট্যান্স ও প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- শিবচরে আশ্রয়ন প্রকল্পর ঘরে ঘরে চীফ হুইপ পরিদর্শন, দিলেন সহায়তা
- বাংলাদেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে শিবচরে: আইনমন্ত্রী
- এই রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু, পরিচালনা করছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা
- সুস্থ থাকতে দিনে কতক্ষণ হাঁটা উচিত?
- উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন আবেদ আলী
- মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদের মাঝে কেন এ কথা অর্জুনের
- মাদারীপুরে লিবিয়ার বন্দীশালার মাফিয়ার সদস্য গ্রেপ্তার
- কালকিনিতে হাত বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত ৩
- আবারও আন্দোলন সফলে জামায়াতকে চায় বিএনপি
- বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়
- মাদারীপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা
- মাদারীপুরে শ্বাসরোধ করে দুই শিশুকে হত্যা
- কোটা আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রয়েছে
- মেধা ছাড়া কেউ কোন কোটায় টিকতে পারে না- তাহমিনা বেগম এমপি
- করজাল বাড়াতে নজর এনবিআরের
- ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন
- কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
- মহেশখালী পৌঁছেছে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল, গ্যাস সরবরাহ ১৮ জুলাই
- দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের পথে প্রধানমন্ত্রী
- ভয়ংকর রাসেলস ভাইপার দংশনের পর হাসপাতাল থেকে এন্টিভেনম দিয়ে সুস্থ
- ‘সিকান্দার’ সিনেমার সেট থেকে সালমানের অ্যাকশন দৃশ্য ফাঁস!
- তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ২১ জুলাই স্পেন যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্যের মামলায় সাবেক এসপিসহ ৫ জনের নামে চার্জশিট
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতে বিকাশকর্মীর ছিনতাই নাটক, গ্রেপ্তার ৩
- কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে
- সর্দিতে নাক বন্ধ হলে করণীয়
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- সিস্ট, ফাইব্রয়েড ও ফাইব্রোডেনোমার মধ্যে পার্থক্য কী?
- ঘুম ভাঙতেই বুকে ব্যথা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?