বাংলাদেশের মানুষ আজ গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বের বুকে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে, সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের পরম পাওয়া।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল একদিন এদেশের মানুষ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করবে। সে লক্ষ্যেই তিনি পুরো জাতিকে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। ভিনদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করে নয়, জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বের বুকে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের পরম পাওয়া।’
দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখবো- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে এই প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে- যা তার সরকারের একটি অনন্য অর্জন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম ও অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা একই বছরের ১২ নভেম্বর ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ প্রণয়ন করে জাতির পিতা হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করি। পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরি। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করি এবং পরপর তিনদফা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক কালজয়ী মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পায়। আমাদের মহান নেতার আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে।
জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সব ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, সব সময় দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা পূর্ব বাংলার জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে প্রহসন শুরু করে। বাংলার নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের এক জনসমুদ্রে ঘোষণা করেন ‘... প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো।... এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের অজ্ঞাত স্থানে কারান্তরীণ করে রাখে এবং তার ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাতে থাকে। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতেও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তার অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। একই দিন সকালে তিনি লন্ডনে অবতরণ করেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লিতে যাত্রা বিরতি দিয়ে দুপুরে তার প্রিয় মাতৃভূমিতে পদার্পণ করেন। ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে এক ভাষণে তিনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার ভয়াবহ ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন, সেই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা সংঘটনের দায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বিচারের মুখোমুখী করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ১৫ মার্চ এর মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। তিনি একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। জাতির পিতার সফল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা '৭৫-এর ২৬ সেপ্টেম্বর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। মোস্তাক-জিয়া চক্র খুনিদের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে কূটনীতিকের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত করে। মার্শাল ল' জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। বিএনপি-জামায়াত সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে।
- শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে রইল ৬ টিপস
- শুদ্ধাচার শুরু করুন পরিবার থেকে
- সারদায় কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন
- কাঁকড়া ভুনা
- সূর্য পর্যবেক্ষণে প্রথমবারের মতো মিশন পাঠাচ্ছে ভারত
- বদলে যাচ্ছে পেনাল্টির নিয়ম
- বরিশালে ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক এক মাদক কারবারি
- এইচএসসির ফল প্রকাশিত হবে ৮ ফেব্রুয়ারি
- আফগানিস্তানে ভয়াবহ ঠান্ডায় ১৬৬ জনের মৃত্যু
- রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ
- জন্মনিরোধক জড়ানো কলা যুবকের পেটে!
- বরিশালে প্রবাসী নুরুল আমিন হত্যা মামলার পলাতক ১ আসামী গ্রেফতার
- ৩০ অসুস্থ ব্যক্তি পেলেন প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা সহায়তা
- অনলাইনে জুয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২
- আওয়ামী লীগ সরকার শুধু স্বপ্ন দেখায় না, বাস্তবে রূপ দেয়: তাজুল
- শান্তিরক্ষা মিশনে কঙ্গোয় গেলেন বিমানবাহিনীর ১৫৩ জন
- পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপত্তায় যাত্রা শুরু করছে ‘মাউন্টেন পুলিশ’
- আগৈলঝাড়ায় ১ লক্ষ মিটার চট জাল ও বাঁধের উপকরন জব্দ
- বরিশালে ধর্ষণ মামলার পলাতক ১ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- মধ্যপ্রাচ্যফেরত রিপন হয়ে ওঠেন গার্মেন্টসপণ্য চোরচক্রের মূলহোতা
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে লন্ডন হাইকমিশনের বিশেষ উদ্যোগ
- প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসছে
- উৎপাদনে ফিরছে ॥ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য পিঠা উৎসব
- বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক নেওয়ার প্রতিশ্রুতি
- বাংলাদেশিসহ সাড়ে ৮২ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি
- ‘বিচারক দোষী সাব্যস্ত হলে তাকেও ছেঁটে ফেলবো’
- আপনারা গরু দেওয়া বন্ধ করলেই কৃতজ্ঞ থাকবো
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
- ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা
- শীতে বাড়ে নিউমোনিয়া, সুস্থ থাকবেন যেভাবে
- দর-কষাকষি করে ঘুষ লেনদেন: অবশেষে রাজস্ব কর্মকর্তা প্রত্যাহার
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সোনার দাম
- শুক্রবার শুরু হচ্ছে ১২ দিনব্যাপী ‘মাদারীপুর উৎসব’
- মাদারীপুরে ছাত্রলীগের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- গৃহহীন মানুষেরা সমাজের বোঝা হয়েছিল, এখন তারা দেশের সম্পদ হয়েছে
- মেট্রোরেলে তৃতীয় দিনে বেড়েছে টিকিট বিক্রি, আয় ১২ লাখ টাকা
- খাসির গ্লাসি
- দিনের শুরুতে যে দোয়া পড়তেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)
- যে গাড়ি রাস্তায় চলবে আকাশেও উড়বে
- দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ৫ ‘জঙ্গি’ গ্রেফতার
- বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে যত অপকর্ম
- ডায়াবেটিসের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখে
- বাংলাদেশের মানুষ আজ গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে
- তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় গোলাগুলি, এক জন নিহত
- আবাদ বন্ধ নয়, উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
- আপনি কি আল্লাহর ফেরেস্তা, ফখরুলকে কাদেরের প্রশ্ন
- দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের সাফল্য
- অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ ক্যাম্পেইন
- শেখ কামাল ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রধান অতিথি বাহাউদ্দিন নাসিম
- আস্ত রসুনে খাসির মাংস
- যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ
- নতুন বছরে যে দুটি দোয়া পড়বেন
- খাসির কোরমা
- বিগত ৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক সাফল্য
সড়ক উন্নয়নে সেঞ্চুরি - জুন-জুলাইয়ে ঢাকায় ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ মেসিদের
- ওষুধ ছাড়াই কমবে কৃমি
- ধূমপান ছাড়ুন সহজ পদ্ধতিতে
- সৌরজগতের বাইরে এক নতুন গ্রহের সন্ধান মিলেছে
- ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল মাদানীর বিচার শুরু