• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে ইন্দিরা মঞ্চ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইন্দিরা গান্ধীর নামে মঞ্চ তৈরি করা হবে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্দিরা গান্ধীর স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা একটু অকৃতজ্ঞ, যে মহিয়সী নারী আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এত অবদান রাখলেন তাকে সেভাবে স্মরণ করতে পারিনি। তার নামে আমরা কিছু বানাতে পারিনি। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা ইন্দিরা মঞ্চ করব, বঙ্গবন্ধু মঞ্চের পাশেই এই মঞ্চ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী যখন স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন তখন ভারতের কিছু ব্যক্তি বাধা দেন। তবে তিনি তাদের বলেছিলেন, আমি ন্যায়ের পক্ষে, জনগণেরর পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। একইভাবে আমেরিকাতে একদল সাংবাদিক তাকে পাকিস্তান যুদ্ধের উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন। জবাবে ইন্দিরা বলেছিলেন, আমি জনগণের পক্ষে, তাদের মুক্তির জন্য আমার অবস্থান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সব বর্ডার খুলে দিয়েছেন আমাদের জন্য, এক কোটি মানুষকে আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন, ২ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন, আমেরিকার মতো পরাশক্তি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও ইন্দিরা গান্ধী আমাদের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তে জনমত তৈরি করেছেন। তখন এক শ্রেণির মানুষ বিরোধিতা করেছে, আজও সেই ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারে কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাই।

বিএসএমএমইউ’র সাবেক ভিসি ডা. কামরুল হাসান বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে যখন শেখ পরিবারের পাশে কেউ ছিল না তখন ইন্দিরা গান্ধী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ’৭০ পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলছিল, তখন আমাদের প্রবাসী সরকারকে আশ্রয় দেয় ভারত তথা ইন্দিরা।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ফজলে এলাহী, সালাউদ্দিন, এম এ রাজ্জাক ও বাসুদেব প্রমুখ।