তাঁতশিল্পীদের সুবিধা দিতে আসছে প্রকল্প
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২০
দেশের বস্ত্র ও পাট খাতের গৌরবময় ইতিহাস ও সোনালী ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং তা সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব এলাকায় বঙ্গবন্ধু বস্ত্র ও পাট জাদুঘর স্থাপন করবে সরকার। একই সঙ্গে সেখানকার উৎপাদিত জামদানি পণ্যের বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং তাঁতশিল্পীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিশ্চিতে হবে প্রদর্শনী কাম বিক্রয় কেন্দ্র ও বস্ত্র প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র।
এছাড়া তাঁতীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পরিবর্তিত বাজারে ভোক্তার চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্বোধন এবং দক্ষ ডিজাইনার ও মানবসম্পদ তৈরিতে হবে একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট।
এজন্য ‘বঙ্গবন্ধু বস্ত্র ও পাট জাদুঘর, জামদানি শিল্পের উন্নয়নে প্রদর্শনী কাম বিক্রয় কেন্দ্র, বস্ত্র প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র এবং একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট স্থাপন’ নামে একটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রস্তাবিত ‘বঙ্গবন্ধু বস্ত্র ও পাট জাদুঘর’ মুজিববর্ষে বাস্তবায়নের বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই অনুযায়ী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (পরিকল্পনা) আহ্বায়ক করে গঠিত নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবোতে একটি বঙ্গবন্ধু জাদুঘর স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. শাহ আলম বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের বস্ত্র ও পাট খাতের গৌরবময় ইতিহাস ও সোনালী ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরা। উৎপাদিত জামদানি পণ্যের বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। তাঁতশিল্পীদের জন্য বয়নপূর্ব ও বয়নোত্তর বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করা।’
‘এছাড়া দেশের মধ্যম পর্যায়ের প্রযুক্তিবিদ তৈরি এবং তাঁতীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, পরিবর্তিত বাজারে ভোক্তার চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্বোধন এবং দক্ষ ডিজাইনার ও মানবসম্পদ তৈরি করাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
তাঁত বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, সর্বশেষ ২০১৮ সালের তাঁত শুমারি অনুযায়ী আড়াইহাজারে ২০০টি, সোনারগাঁয়ে দুই হাজার ৭৯৯টি, রূপগঞ্জে তিন হাজার ১৮৫টিসহ সারাদেশে ১০ হাজার ৫৩টি জামদানি তাঁত বিদ্যমান। সেই হিসাবে প্রায় ৩১ হাজার লোক জামদানি শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক এ জামদানি শিল্পের উন্নয়নে ১৯৯২ সালে রূপগঞ্জের দক্ষিণ রূপসী গ্রামে জামদানি পল্লী প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় সরকার। জামদানি শিল্প ও তাঁতীদের রক্ষা করাই ছিল এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনকে (বিসিক) প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে প্রতিটি এক হাজার ৫০০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৪২০টি প্লট তাঁতীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিটি প্লটের এককালীন মূল্য ধার্য করা হয় এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে এককালীন পরিশোধ করা হয় ৫৮ হাজার টাকা এবং বাকি ৭৫ হাজার টাকা ১০ বছরে পরিশোধের ব্যবস্থা রাখা হয়।
জামদানি পল্লী প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮ সালে প্রশাসনিক ভবন, বিপণন কেন্দ্র, হাট-বাজারের জন্য তিনটি সেড, পাম্প হাউস, অভ্যন্তরীণ সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ সম্পন্ন করা হয় এবং প্লটগুলোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা হয়। বিসিক জামদানি তাঁতীদের ২০০০ সালে ৪০৭টি প্লট বরাদ্দ দেয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র সাতটি প্লট রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
তাঁত বোর্ডের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের তাঁতবস্ত্রের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। এদেশের তাঁতে উৎপাদিত মসলিন ছিল বিশ্ববিখ্যাত। প্রায় ১৭ ধরনের মসলিন কাপড় বুনন হতো, যার মধ্যে অন্যতম হলো জামদানি। ঐতিহ্যবাহী জামদানি তাঁতবস্ত্রের বুননশৈলী অত্যন্ত শৈল্পিক, অসামান্য এবং অদ্বিতীয়। জামদানিশিল্পীরা ঐতিহ্যগতভাবেই তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে মানসম্পন্ন জামদানি শাড়ি তৈরি করে আসছেন। একসময় মসলিনের পরিপূরক হয়ে বাংলাদেশের ফ্যাশন ঐতিহ্যে স্থান করে নেয় জামদানি। ক্রমেই তা বাংলার তাঁতীদের আপন মমতায় আর সুনিপুণ দক্ষতায় হয়ে ওঠে ঐতিহ্যের পাশাপাশি অভিজাত্যের পোশাক।
জামদানি কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের সূক্ষ্ম বস্ত্র। প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙালি নারীর অতি পরিচিত। কাপড়ের ওপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। আবার সুতি সুতার সঙ্গে সিল্ক সুতার সমন্বয়েও তৈরি করা হয় জামদানি কাপড়; যা দেখতে অনেক উজ্জ্বল ও মনোমুগ্ধকর। জামদানি বলতে সাধারণত শাড়িকেই বোঝানো হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশী ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, ফতুয়া, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতি তৈরি করা হয় বলে জানান তারা।
তাঁত বোর্ড থেকে জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় বরাবর পুরনো সোনারগাঁও-রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার অঞ্চলটি ছিল এই ধরনের কাপড় তৈরির কেন্দ্র। বর্তমানে রূপগঞ্জে নোয়াপাড়া, রূপসী, সুইজগেট, গঙ্গানগর, বরাবো, পবনকুল, মৈকুলী, খাদুন ও পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় এই শিল্প বিদ্যমান। এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও জামদানি তাঁতশিল্প বিদ্যমান।
বাংলাদেশের জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওকে ‘ওয়ার্ল্ড ক্রাফট সিটি’র মর্যাদা লাভের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। জামদানিকে ঘিরে উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁকে ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফট সিটি’র স্বীকৃতি দেয়া হয়। ফলে প্রথম বাংলাদেশের কোনো স্থান ওয়ার্ল্ড ক্রাফট সিটির মর্যাদা লাভ করে— জানায় তাঁত বোর্ড।
এছাড়া ২০১৩ সালে ইউনেস্কো জামদানি বয়নশিল্পকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজের মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেয়। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক সামগ্রী হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি।
- আগামী ৬ জুন নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি
- শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
- বেনজীরের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি
- কোটি টাকার মাদকসহ সংগীত শিল্পী এনামুল কবির আটক
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- বাংলাদেশের উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে ফ্রান্স
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
- মাদারীপুরে মামলা করায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ।। আহত ১৫
- আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
- সড়ক নির্মাণ ও ড্রেন সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন মেয়র খোকন
- দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া সুষ্ঠু নির্বাচন-ইসি
- উজিরপুর গাড়ী পোড়া মামলার আসামী ছাত্রদলনেতা সহ ৫জন গ্রেফতার
- নিষিদ্ধ শাপলাপাতা, হাঙ্গর ও পিতম্বরী মাছ সহ ট্রলার জব্দ
- কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন বন্ধ
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- তাপমাত্রার সঙ্গে বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরমও
- একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- দেশে এই প্রথম চোয়াল প্রতিস্থাপন, বিশ্বে নজিরবিহীন
- ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দেন স্ত্রী, অতঃপর..
- মাহিনকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ভাড়া করা চালক: মেয়র তাপস
- গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ
- টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড
- দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে
- তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় ছেলের হাতে বাবা খুন
- ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, কেন্দ্রে থাকবে পানি-চিকিৎসা সামগ্রী
- পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
- ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন
- গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত
- শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন- চীফ হুইপ