• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

বাড়ছে সমুদ্র উপরিভাগের তাপমাত্রা, বিপদের মুখে বাংলাদেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০  

বঙ্গোপসাগর উপকূলে গত ৬০ বছরে প্রায় ৪ গুণ বেড়েছে সাইক্লোনের সংখ্যা। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহতায় যোগ করছে নতুন নতুন মাত্রা। কোনোটি এগিয়ে থাকছে ব্যাপকত্বে, কোনোটি আবার গতি বা জলোচ্ছ্বাসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্রমেই বাড়ছে সমুদ্র উপরিভাগের তাপমাত্রা। এতে দুর্যোগের সংখ্যা ও মাত্রা বাড়ায় বার বার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭১ সাল থেকে এ বছরের আম্পান পর্যন্ত গত ৫০ বছরে দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে ছোটবড় ৩৩টি ঘূর্ণিঝড়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, ১৭৯৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ২২৩ বছরে বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭৮টি ঘূর্ণিঝড়।

বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ১৮১ বছরে যেখানে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল ৩০টি, সেখানে ১৯৬১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৬০ বছরে হয়েছে ৪৮টি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে গত এক বছরেই আঘাত হেনেছে ৩টি ঘূর্ণিঝড়। সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি যার শক্তিও পৌছেঁছে ভয়াবহ মাত্রায়। সমুদ্রের তাপমাত্রা, চাপ ও বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক মাত্রা অতিক্রম করায় এ ধারা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ গবেষক ড. বিশ্বজিৎ নাথ বলেন, ২.৭ সেন্টি গ্রেড এভারেজে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এটা একটা এলার্মিং বিষয়। আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিষয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বনায়নের হার কমায় এ ক্ষতি প্রকট হচ্ছে বলে মনে করছেন জলবায়ুবিদরা।

জলবায়ুবিদ ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে এরকম সুপার সাইক্লোন আরো দেখবো। জলবায়ুবিদ ড. আইনুন নিশাত বলেন, উপকূল অঞ্চলে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, শিলা বৃষ্টি বাড়তে পারে। এসব আমরা ২০ বছর ধরে বলবো। আগামীতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির সময়ও কমে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে, উপকূলে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলারও পারামর্শ গবেষকদের।