• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণমঞ্চ নির্মাণ করবে সরকার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে দাড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে ভাষণমঞ্চ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তর্জনী উত্তোলিত সম্বলিত একটি প্রতিকৃতি ওই ভাষণ মঞ্চে স্থাপন করা হবে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন-১ অধিশাখা থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে সংগৃহীত তথ্যে জানা যায় যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতিমধ্যেই স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের দুটি পর্যায় সমাপ্ত হয়েছে। যাতে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা জাদুঘর, ফোয়ারা, জলাধার ও উম্মুক্ত মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে আরো কতিপয় কার্যক্রম সংবলিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা হয়েছে। মূল প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভাষণমঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর তর্জনী উত্তোলিত প্রতিকৃতি স্থাপন অন্তভুক্ত করে ডিপিপি পুর্নগঠনপূর্বক তা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই মন্ত্রণালয় হতে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাওয়া গেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত পত্রের আলোকে অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং রমনা কালী মন্দির ও শিশু পার্ক সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তর হতে সংগ্রহ করে পুনরায় প্রেরণ করা হবে। এই প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতেই অসৎ উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ওই স্থানে শিশু পার্কটি নির্মাণ করা হয়। ওই শিশুপার্ক সরানোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত কি তা ১৮ ফেব্রুয়ারি জানাতে বলেছে আদালত। এ সময় আদালতে রিটকারী পক্ষে ড. বশির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেখানে শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছিলো ওই স্থানে দাড়িয়েই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।