রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণ: গুজব রুখে দিন
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০১৯
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই সদস্য এক রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণ করেছে- এ সংবাদ কতিপয় আন্তর্জাতিক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে। অভিযোগটি নিঃসন্দেহে গুরুতর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই তারা অভিযোগটির তদন্তে বিভাগীয় তদন্ত টিম গঠন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজ করার সুবাদে জানা আছে, এ ধরণের অভিযোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জিরো টালারেন্স নীতিতে দেখা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সদস্যদের কঠিন শান্তি হবে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
আমার প্রশ্ন অন্যত্র। হঠাৎ কেন এ ধরনের সংবাদ ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে- তা নিয়ে। এ ধরণের সংবাদ রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে সক্রিয় বিদেশী এনজিও ও দাতা সংস্থাগুলোর জন্য পরিতৃপ্তির কারণ সন্দেহ নেই। বিশেষ করে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সমাবেশের পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের নড়েচড়ে বসা এবং রোহিঙ্গা ও তাদের নিয়ে সক্রিয় এনজিওদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের বিভিন্ন ধরণের বিধি নিষেধ আরোপ করায় তারা বেজায় নাখোশ ছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা, সিকিউরিটি ক্যামেরা বসানো, রাতে নিরাপত্তা টহল, রোহিঙ্গাদের বাইরে রাতে ক্যাম্পে অবস্থান না করা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করা, মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, ইয়াবা, মাদক পাচারকারী, নারী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, এনজিও ও দাতা সংস্থাগুলোর নিয়োগ আয় ব্যয় সহ সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য গাইডলাইন তৈরি- প্রভৃতি কারণে এসকল এনজিও ও দাতা দেশ এবং সংস্থাগুলো বেজায় নাখোশ ছিলো। তারপর যখন শুনলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে সরকার তখন তাদের ‘মাইনক্যাচিপায় আটকে’ যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই যে কোনোভাবেই সেনাবাহিনীর ভাবমর্যাদা বিতর্কিত করতে পারলে তাদের উদ্দেশ্য সাধন সহজ হয়। সেকারণেই এ নিউজ ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
তা না হলে যেসব বিদেশী মিডিয়া কক্সবাজারে তারকা হোটেলগুলোতে বিশাল অফিস, জনবল নিয়ে শুধু রোহিঙ্গাদের নিউজ করার জন্য অর্থ ব্যয় করছে তাদের চোখে রোহিঙ্গা তরুণীদের নিয়ে এনজিও কর্মকর্তাদের আমোদ ফুর্তির ঘটনা সংবাদ হতো। স্থানীয় একাধিক সাংবাদিকের কাছে শুনেছি, বিদেশী এনজিওগুলো কক্সবাজারের ফাইভ স্টার মানের হোটেলগুলোতে রীতিমত ফ্লাট আকারে ভাড়া নিয়ে অফিস ও আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করছে। একই হোটেলের একই ফ্লোরের কিছু রুমে অফিস, কিছু রুমে বাসস্থান করে বসবাস করছে। হোটেলের রুমগুলোতে নারী-পুরুষ পাশাপাশি থাকছে, আমোদ ফুর্তি করছে। সুন্দরী নারীদের যোগ্যতা না থাকলেও অথবা কম যোগ্যতা সত্ত্বেও উচ্চ বেতনে চাকরি দিয়ে রেখেছে শুধুমাত্র ফুর্তি করার জন্য। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সুন্দরী তরুণীদের একই কারণে চাকরি দেয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের নামে ৩-৭ দিনের জন্য কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে নিয়ে রেখে ফুর্তি করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তার নামে টাকা এনে ৭০% এরও অধিক অর্থ ম্যানেজমেন্ট খাতে ব্যয় করে সে অর্থ দিয়ে ফুর্তি করার সংবাদ কোথাও দেখি না। কক্সবাজার, টেকনাফের বহু হোটেল, রিসোর্টগুলোতে এখন রোহিঙ্গা তরুণীদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির রমরমা ব্যবসা চলছে। খোঁজ নিলেই জানা যাবে, এর প্রধান কাস্টমার কারা? কই ওইসব বিদেশী মিডিয়াতে তো এনজিওগুলোর এহেন কার্যক্রম নিয়ে কোনো নিউজ হতে দেখি না। রোহিঙ্গা তরুণীদের পাচারকারীরা সারা দেশে ও দেশের বাইরে পতিতালয়গুলোতে বিক্রি করে দিচ্ছে, রোহিঙ্গারা পরিচয় গোপন রেখে বাংলাদেশি নাগরিক সনদপত্র ও পাসপোর্ট গ্রহণ করছে- সেসব বিষয়েও সংবাদ হতে দেখি না এসব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকাণ্ডে এনজিওদের উস্কানি, ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তাদের আপত্তি, কারণ এই কর্মকর্তাদের প্রতিদিন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে চরে যাতায়াত করতে হবে, সেখানে থাকতে হবে, কক্সবাজারের মত মৌজ-ফুর্তি করা যাবে না, ফলে রোহিঙ্গাদের উস্কানি দেয়া হয়- এসব নিয়ে কোন নিউজ দেখি না ওই সকল গণমাধ্যমে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প জুড়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত সক্রিয়, সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন এনজিওর ছদ্মাবরণে থাকা বহু দেশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। অনেকে রোহিঙ্গা মেয়ে বিয়ে করে রাতে ক্যাম্পেই অবস্থান করে। তাদের কেউ কেউ এই অঞ্চলকে আরেকটি মুসুল, রাকা, বানানোর স্বপ্নে বিভোর। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বহু এনজিওতে বা কনসার্ন প্রজেক্টে লাল বাতি জ্বলবে, বড় বড় কর্মকর্তারা বিপুল বেতনের, সুযোগ-সুবিধার চাকরি হারাবে- তাই তারা চায় না রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।
সমাবেশের আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রাতের বেলায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ অলমোস্ট ছিল না। আরসা ও আল ইয়াকিন নামক বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাদের সৃষ্ট জঙ্গী সংগঠন রাতের বেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো নিয়ন্ত্রণ করত । মাদক ও নারী পাচারকারী, সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র হয়ে পড়তো রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো। সাধারণ রোহিঙ্গারা ভয়ে তাদের সকল নির্যাতন, শোষণ, জুলুম, অপকর্ম চোখ বুজে সহ্য করত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মুখ খুলতে সাহস পেত না। কোনভাবে কেউ মুখ খুললে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিত সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ, রাতে নিরাপত্তা টহল ও রাতে রোহিঙ্গাদের বাইরে কাউকে ক্যাম্পে অবস্থান না করার নির্দেশ প্রদানে এ সকল অপকর্ম ও ষড়যন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তারা খুব নাখোশ। এ সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সক্রিয় থাকায় তাদের সব রাগ গিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনীর উপর।
আসলে রোহিঙ্গা নিয়ে ষড়যন্ত্র ও বদ মতলবে থাকা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো ডিজাইনের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছে সাম্প্রতিক বাংলাদেশ। তাই তাকে লাগাম পরানোর জন্য তার শক্তিগুলোকে বিতর্কিত করার জন্য যড়যন্ত্রকারীরা উঠে পড়ে লেগেছে। এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী করবেন না?
- গরমে চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে
- গরমে স্বস্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত
- এই গরমে মুঠোফোন ঠান্ডা রাখতে করণীয়
- আগামী ৬ জুন নতুন সরকারের প্রথম বাজেট
- আগামী মাসে বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত
- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা: রাষ্ট্রপতি
- শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
- বেনজীরের সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের চিঠি
- কোটি টাকার মাদকসহ সংগীত শিল্পী এনামুল কবির আটক
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- বাংলাদেশের উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে ফ্রান্স
- মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
- মাদারীপুরে মামলা করায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ।। আহত ১৫
- আজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু
- সড়ক নির্মাণ ও ড্রেন সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন মেয়র খোকন
- দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া সুষ্ঠু নির্বাচন-ইসি
- উজিরপুর গাড়ী পোড়া মামলার আসামী ছাত্রদলনেতা সহ ৫জন গ্রেফতার
- নিষিদ্ধ শাপলাপাতা, হাঙ্গর ও পিতম্বরী মাছ সহ ট্রলার জব্দ
- কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন বন্ধ
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- তাপমাত্রার সঙ্গে বাড়তে পারে ভ্যাপসা গরমও
- একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- দেশে এই প্রথম চোয়াল প্রতিস্থাপন, বিশ্বে নজিরবিহীন
- ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দেন স্ত্রী, অতঃপর..
- মাহিনকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ভাড়া করা চালক: মেয়র তাপস
- গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ
- টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড
- দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে
- তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় ছেলের হাতে বাবা খুন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত
- শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন- চীফ হুইপ