• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

শিশুদের নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শিশুদের নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে পরিচয় প্রকাশ না করা হয়। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

ফোরামের সভাপতি শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

কিশোর গ্যাংকে একটি সামাজিক সমস্যা উল্লেখ করে এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, সাম্প্রতিককালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার হচ্ছে, আমাদের সমাজে কিশোর গ্যাং আসলেই একটা সমস্যা। কিশোর গ্যাং কেন হয় কি কারণে হয় সমাজ বিজ্ঞানীরা আছেন তারা ভালোভাবে দেখতে পারবেন কীভাবে প্রিভেন্ট করা যায়। কিন্তু আইন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিকোণ থেকে আইন শৃঙ্খলা  বাহিনী মনে করছেন এ ধরনের কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। মানুষ কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় ভীষণ অতিষ্ঠ। আমি যখন বিভিন্ন জায়গায় যাই আমাদেরকে বলে এই কিশোর গ্যাং আসলে কেউ কিশোর না। হতে পারে সবাই কিশোর না, ১৫/১৬ বছর বয়স। আমাদের শিশু আইনে ১৮ বছর।

তিনি আরও বলেন, শিশু আইন ও হাইকোর্টের রায়ে বলা আছে, শিশুদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পরিচয় যাতে প্রকাশ না করা হয়। কিন্তু আমি কয়েকদিন ধরে দেখছি আইন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর মধ্যে প্রবণতা আছে কে কতটুকু কাজ করছে তা তুলে ধরার। তারা হয়তো ডাকলো, ডেকে মিডিয়ায় ব্রিফ করল। প্রাথমিকভাবে ধরে নিতে হবে এরা কিশোর। কারো যদি বয়স কম বেশি হয় সে বিষয়ে প্রশ্ন আসলে সেটা আদালত নির্ধারণ করবে।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের গ্রেপ্তার হওয়া বা ধরা আইনগত বাধা নেই। এটা করতেই পারে। কিন্তু এদের ছবি দেওয়া মিডিয়ায়, পত্রিকায় সেভাবে পরিচয় প্রকাশ করা, এটা কিন্তু আইনে বারিত করছে। এখন আপনাকে (সাংবাদিকদের) ডেকে ব্রিফ করল। করলেই কি আপনি ছবিসহ নাম প্রকাশ করে দেবেন? সে ক্ষেত্রে আপনাকে সংযত হয়ে আইনটা মেনে সংবাদ পরিবেশন করবেন ছবি যাতে প্রকাশিত না হয়।

আদালত সাংবাদিকতার বিষয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, যতটুকু সত্য ততটুকু আপনি (সাংবাদিক) করবেন। ততটুকু দিবেন যতটুকু আপনি প্রমাণ করতে পারবেন। যদি আপনার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়, অবশ্যই ডিপেন্ড করবেন। আমি মনে করি এ ধরণের সাহসী সাংবাদিকতা অবশ্যই থাকা দরকার। কারণ আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বিচারক হই, যেই হই। আমাদের জবাবদিহিতা আছে জনগণের কাছে, আইনের কাছে, সংবিধানের কাছে। তবে সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে, যাতে বিচারকের মানহানি না হয়।