• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে বালু ব্যবসায়ীর দুইপা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে প্রকাশ্যে বালু ব্যবসায়ীর দুই পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সাইফুল সরদারসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে  রাজধানীর ডেমরা থানার মিরপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর সদর মডেল থানা ও জেলার গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার মৃত আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার (২৬), আতাবুর সরদার (২৮) ও অলিল সরদার (৩০), কালকিনি উপজেলার দাদপুর গ্রামের সেকান্দার সরদারের ছেলে মানিক সরদার (২৫), সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৬), চর খোয়াজপুর গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে তুরাণ সরদার (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত সালাম সরদারের ছেলে আপেল সরদার (১৯)।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী সহিংসতা ও এলাকার আধিপত্য নিয়েই চর খোয়াজপুর গ্রামের আসমত আলী সরদারের ছেলে ব্যবসায়ী হোসেন সরদারকে (৬০) পিটিয়ে আহত করে সাইফুল ও তার সঙ্গীরা। পরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে অভিযান চালিয়ে সাইফুল সরদারসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে হোসেন সরদারের ওপর হামলার ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি হোসেন সরদারের স্ত্রী সিউলী বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ১৪ জনের নামে একটি মামলা হয়।
আহত হোসেন সরদারের ছেলে মুক্তি সরদার বলেন, আমার বাবার ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয় সাইফুল ও তার লোকজন। পরে মামলা হলে আমাদেরকে দফায় দফায় হুমকিও দেওয়া হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, সাক্ষ্য প্রমান, মেডিকেল রিপোর্ট সবকিছুই পর্যালোচনা করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াজপুর-টেকেরহাট বাজারের একটি দোকান থেকে টেনেহিচড়ে বের করে নিয়ে আসা হয় বালু ব্যবসায়ী হোসেন সরদারকে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ খোয়াজপুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদারের নেতৃত্বে পিটিয়ে দুইপা ভেঙ্গে ফেলা হয় হোসেনের। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।