• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

অবশেষে প্রেমিকের বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা পেলেন সেই তরুণী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

স্বামীকে না পেয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন তরুণী রিয়া বালা। চারদিনের মাথায় আবারো বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন তিনি। তবে এবার ওই তরুণীর জন্য শ্বশুরসহ স্বামীর পরিবারের লোকজনকে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এদিকে ওই তরুণী আবারো বাংলাদেশে আসার খবরে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি ও তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরাও ইমিগ্রেশন এ উপস্থিত হন। পরে শ্বশুর নিখিল চন্দ্র রায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে ওই নারীকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তোলার লিখিত অঙ্গীকার দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।

গত ২৯ ডিসেম্বর স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসেন রিয়া বালা। কিন্তু তার আসার খবর পেয়ে গা ঢাকা দেয় স্বামী বিটু রায়। এক পর্যায়ে তার নিরাপত্তার কথা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে গত ২ ডিসেম্বর তাকে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নারী-শিশু সেলে রাখা হয়। পরদিন ৩ ডিসেম্বর রিয়া বালা দেশে ফেরত যেতে সম্মত হলে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে রিয়া বালার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডী এলাকার অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে বিটু রায় ভারতের জলপাইগুড়িতে গিয়ে প্রেমিকা রিয়া বালার সঙ্গে দেখা করেন এবং গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার শিকারপুর এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে রিয়া বালাকে বিয়েও করেন। বিয়ের পর প্রায় এক মাস ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন বিটু। এরপর দেশে ফিরে রিয়া বালার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসেন রিয়া বালা।

নববধূ রিয়া বালা বলেন, বিটু রায়ের বিয়ের পর এক মাস ভাড়া বাড়িতে ছিলাম। কিন্ত কৌশলে দেশে গিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে তার বাড়িতে থাকতে না পেরে ভারতে ফিরে যাই। স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সম্মতিতে আবার এসেছি। তবে এবার আমাকে নিতে শ্বশুরসহ তার পরিবারের লোকজন এসেছেন।

শ্বশুর অখিল চন্দ্র বলেন, ছেলে বাড়িতে ছিল না। তার সঙ্গে যোগাযোগও হচ্ছিল না। এজন্য তাকে বাড়িতে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে এখন ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে খুলনা থেকে আসছে। আর আমরা নববধূকে নিয়ে বাড়ি আসছি।

তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকেলে ওই তরুণী বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অঙ্গীকারপূর্বক শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বরণ করে বাড়িতে নিয়ে যান।