• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

নানা কর্মসূচিতে ঝালকাঠি মুক্ত দিবস পালিত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩  

ঝালকাঠি ও নলছিটি মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয় র‌্যালি ও আলোচনা সভার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন আমু এমপি। নলছিটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে দেশের মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর। আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় চিন্তা করেন। তাদের যেভাবে ভালো রাখা যায়, সে ব্যবস্থা করেছেন। ভাতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন, যাতে মুক্তিযোদ্ধারা পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাবিবুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির।
মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝালকাঠির নিয়ন্ত্রণ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। ২৭ এপ্রিল হেলিকপ্টার থেকে অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গানবোর্ড থেকে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে করতে পাকবাহিনী ঝালকাঠি আক্রমন করে। হানাদার বাহিনী শহরের দখল নিয়ে ‘দ্বিতীয় কোলকাতাখ্যাত’ দেশের বৃহত্তম এ বানিজ্য বন্দরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এর পর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর সহায়তায় নির্বিচারে গনহত্যা, লুট-পাট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয় নিরিহ মানুষের ওপর। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি চরে ২৭-২৮ জনের একটি রাজাকারের দল স্থানীয় জনতা আটক করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সোপর্দ করে। মুক্তিযোদ্ধারা ঝালকাঠি থানা ঘেরাও করলে ওসিসহ সকল পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র সমর্পন করে। মুক্ত হয় ঝালকাঠি। একই দিন পাকহানাদার মুক্ত হয় নলছিটি উপজেলা।