• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৩  

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাজারে সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় কমেছে সবজির দাম। তবে চাষিরা বলছেন, শীত পড়াতে সবজি উৎপাদন বেড়ে গেছে।
শীতের আগামনীতে কৃষিনির্ভর ভেড়ামারায় স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে শিম, বেগুন, করলা, মুলা ও পালং শাকের মতো অনেক সবজির দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। শুধু এগুলো নয়, অধিকাংশ সবজি দামই কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে বাজারে সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় কমেছে সবজির দাম।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বছরের সবসময়ই সবজির দাম বেশি থাকলেও শীত আসলে সবজির দাম নাগালের মধ্যে আসে।

ভেড়ামারা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কলেজ বাজারের সবজি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী, চাষি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আজ সবজি বাজারে ব্যাপক পরিমাণে সবজি আমদানি হয়েছে। শীতকালীন সবজিতে সবজি বাজার ভর্তি হয়ে গেছে।

চাষিরা জানান, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৬০ টাকায়, আজ তা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় নেমেছে। বেগুন ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আজ তা ২০ থেকে ২৫ টাকা; পটল ছিল ৫০ টাকা, আজ তা চলছে ২০ থেকে ২৫ টাকা; মুলা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আজ তা ২০ থেকে ২৫ টাকা। পালং শাক ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আজ তা ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি লালশাক বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা করে, আজ তা চলছে ১৮ টাকা করে।

সবজি বিক্রেতা লিটন বলেন, গত সপ্তাহে আমি চাষিদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে বেগুন কিনে বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়। আজ কিনেছি ২০ টাকা করে, বিক্রি করছি ২৫ টাকা করে। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে আজ ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি।

সবজি বিক্রতা রেজাউল বলেন, বাজারে আজ অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ১৫ টাকা করে কম। কারণ বাজারে আজ প্রচুর সবজির আমদানি হয়েছে। ফলে দাম কমে গেছে। আর যখন যেমন দামে সবজি কিনি, তখন তেমন দামে বিক্রি করি। বাজারে মূলত সবজি দাম বাড়ে উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে।

সবজি ক্রেতা শিহাবুল আলম বলেন, ১৫ দিন আগে আধা কেজি শিম কিনেছি ১০০ টাকায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কিনেছি ৬০ টাকা, আর আজ এক কেজি শিম কিনছি ৩৫ টাকা করে। তার মানে অর্ধেক দামে। আজ বাজারে শীতকালীন প্রায় সব সবজিই উঠেছে।

ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি রাজ মিস্ত্রির কাজ করি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে প্রতিদিন ৬ শ’ টাকা রোজগার করি। বাজারে এসে দুই একটা সবজি ছাড়া কেনার ক্ষমতা থাকে না। আজ এসে ২ শ’ টাকার বাজার করেছি, তাতেই বাজারের ব্যাগ ভর্তি হয়ে গেছে। আজ বেগুন, শিম, মুলা, পটল, বাধাকপিসহ আরো কয়েকটি সবজি কিনেছি। এমন বাজারদর থাকলে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুব ভালো হয়।

সবজি চাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ বেগুন পাইকারি বিক্রি করলাম ১২ থেকে ১৫ টাকা করে। বতর্মানে সার, বিষ, শ্রমিকসহ সব জিনিসের দাম বেশি। এখন সবজি চাষে আগের থেকে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ।  

সবজি চাষি আজম বলেন, বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করতে যাচ্ছি, তারা সবজির দাম কম বলছে।