• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাদারীপুর দর্পন

লাভজনক হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আমড়ার চাষ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

লাভজনক হওয়ায় ঝালকাঠিতে আমড়া চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাগান করার তিন রছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। আর একনাগারে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত উৎপাদন হয়। বাগান পরিচর্যার সামান্যা কিছু খরচ ছাড়া বাড়তি কোন উৎপাদন খরচ নেই। তাই অন্য যেকোন ফসলের চেয়ে এই ফসলটির চাষ লাভজনক। এ কারনে ঝালকাঠিতে দিন দিন আমড়ার চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।  জেলার বিভিন্ন হাটে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার আমড়া। আর সেখান থেকে নৌ কিংবা সড়ক পথে সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে ঝালকাঠির আমড়া।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলায়  ৬০২ হেক্টট জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মে.টন আমাড়ার ফলন পাওয়া যাবে। সারাদেশে প্রচুর চাহিদা থাকায় ও লাভজনক হওয়ায় দিন দিন ঝালকাঠিতে বাড়ছে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল আমড়ার আবাদ। এখন ভরা আমড়ার মৌসুম। কৃষকরা ব্যস্ত বাগান থেকে আমড়া তুলে বাজারজাত করার কাজে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভীমরুলীর খালে বসছে ভাসমান আমড়ার বাজার। পাইকাররা এই আমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে।জেলার সদর উপজেলার ভীমরুলী হাটটি সবচে বড়।
এছাড়া জেলার ছোট বড় সব হাটেই আমড়ার রমরমা বেচাকেনা চলছে। এসব হাট থেকে থেকে প্রতিদিন পাইকাররা আমড়া কিনে সরবরাহ করছেন সারা দেশে। এবছর আমড়ার ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষক পর্যায় প্রতিমন আমড়া ৮’শ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝালকাঠির বিভিন্ন হাট থেকে প্রতিদিন নৌ ও সড়ক পথে বিপুল পরিমান আমড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছে।

আমড়া চাষি রিপন দাস বলেন, এবছর আমি ৬০ টি আমড়ার গাছ এক লাখ টাকা বিক্রয় করেছি। পাইকার বাগান থেকে আমড়া পেরে নিবে। আমার তেমন কোন খরচ নেই। ফলোন ভালো  দামও ভালো পেয়েছি।

ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্পপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠির ১৫ হাজার ৪৭০ জন কৃষক আমড়ার আবাদ করেছে। তাদের উৎপাদিত এ ফসল থেকে এবছর প্রায় ২৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। যা গ্রামীন অর্থনীতিতে গুরুত্ব পূর্ণ অবদান রাখবে বলে কৃষিবিদরা আশা প্রকাশ করছেন।