• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুর নিচে হয়তো রয়েছে লবণের হৃদ, পুকুর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুর নিচে বিশাল এক ভূগর্ভস্থ হৃদের পাশাপাশি হয়তো লবণাক্ত পুকুরের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে। যা মঙ্গলে ক্ষুদ্র প্রাণ থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। ইতালির বিজ্ঞানীরা নিজেদের ধারণা অনুযায়ী, মাটির নিচে বিশাল এক হৃদ শনাক্তের দুই বছর পর সোমবার তাদের নতুন আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। তারা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস মহাকাশযানের রাডার থেকে প্রাপ্ত আরও উপাত্ত ব্যবহার করে তাদের গবেষণার এলাকা বিস্তৃত করেন।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমি সাময়িকীতে প্রকাশিত সর্বশেষ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ভূগর্ভস্থ লবণাক্ত হৃদটির বিষয়ে আরও প্রমাণ হাজির করেন। এটি আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এবং আছে বরফের ভূপৃষ্ঠের দেড় কিলোমিটার নিচে।

আরও আশার বিষয় হলো, বিজ্ঞানীরা হৃদটি ঘিরে থাকা পানির তিনটি ছোট আধার চিহ্নিত করেছেন। এসব পুকুরের আকার বিভিন্ন ধরনের এবং এগুলো মূল হৃদ থেকে বিচ্ছিন্ন।

মঙ্গল মোটামুটি ৪০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর মতো উষ্ণ ও আর্দ্র ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাল এ গ্রহটি বিরান ও শুষ্ক হয়ে আজকের অবস্থা ধারণ করে।

নতুন গবেষণাটির জন্য রোমা ট্রে ইউনিভার্সিটির সেবাস্তিয়ান ইমানুয়েল লউরো’র নেতৃত্বে গবেষকরা পৃথিবীতে অ্যান্টার্কটিক ও কানাডিয়ান আর্কটিকে মাটির নিচের হৃদ শনাক্তের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এ জন্য তারা ২০০৩ সালে উৎক্ষেপণ করা মার্স এক্সপ্রেস মহাকাশযান থেকে ২০১০ হতে ২০১৯ সময়ের শতাধিক রাডার পর্যবেক্ষণের উপাত্ত নিয়ে কাজ করেন।

মঙ্গলে পানি থাকার এসব সম্ভাবনা গ্রহটির ওপরে বা ভেতরে জীবাণুর মতো প্রাণ থাকার সম্ভাব্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানকার হিমশীতল জায়গায় লবণের অধিক ঘনত্ব পানিকে জমাট বেঁধে যাওয়া থেকে রক্ষা করে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাইনাস ১১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং যত গভীরে যাওয়া যায় তা ততই উষ্ণ।

গবেষকরা জানান, পানির এ আধারগুলো জৈবিকভাবে আকর্ষণীয় এবং ভবিষ্যতে মঙ্গলে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে ওই অঞ্চলটিকে লক্ষ্যবস্তুতে রাখা উচিত।