• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

একাত্তর টিভি নিয়ে নোংরামি ও নুরুদের যুক্তি নিয়ে কিছু কথা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০  

একাত্তর টিভি নিয়ে নোংরামি করার পর নুরুদের এখন যুক্তি হচ্ছে, সজীব ওয়াজেদ প্রথম আলো বয়কট করতে বলেছিলেন। এই নুরু বাহিনীর কমন সেন্সের অভাব নতুন কিছু নয়, কিন্তু এরা বার বার প্রমাণ করে যে আইন, রাজনীতি বা জাতীয় ইস্যুতে কথা বলার মতো প্রয়োজনীয় জ্ঞান তাদের নেই। সজীব ওয়াজেদ কেন প্রথম আলোর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন? ব্যক্তি স্বার্থে? দলের স্বার্থে?

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সজীব ওয়াজেদের অভিযোগের কারণ কি ছিল তা যেকেউ পড়ে দেখতে পারেন। তিনি লিখেছিলেন, "দেশের সবচেয়ে বড় বাংলা পত্রিকা 'প্রথম আলো' আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারত-পাকিস্তান’ যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এর মাধ্যমে তারা একাত্তরের ত্রিশ লাখ শহীদকে অপমান করলো। আমি মনে করি, এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিৎ। .... চলুন প্রথম আলো বর্জন করি"।

এটি কোনো হুমকি ছিল না, এজন্য কোনো সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয় নি, ক্ষমতাসীন দল হিসেবে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয় নি এবং আওয়ামী লীগের একজন সমর্থকও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় নি। সবচেয়ে বড় কথা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ইসলামিক কার্ড খেলা হয় নি, যা ইতোপূর্বে বিএনপি জামায়াত খেলেছিল। সজীব ওয়াজেদ যে কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তাতে স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া আর কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।

একাত্তর টিভি কোনো ধর্মীয় চ্যানেল নয় যে একে ইসলামের দাঁড়িপাল্লায় মাপতে হবে। কোনো আলেমের জন্য ৭১ বয়কটের কথা বলা মানে পরোক্ষভাবে অন্য চ্যানেলগুলোকে শরীয়ত সম্মত আখ্যা দেয়া, যা সত্যিকারের কোনো আলেমের করার কথা নয়। এ কথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, ৭১ টিভি সবসময়ই ওয়াজের নামে অশ্লীলতা, নারীদের কটুক্তি, উগ্রবাদ ও ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল । এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জামায়াত শিবির। বিশেষত সাঈদী সম্পর্কে ওয়াজ করায় আজহারী, আবুল কালাম আজাদ, তারেক মনোয়ার ও লুৎফর রহমান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় জামাত ও তাদের দালালদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছিল। এখন নুরুর উসিলায় তা মেটানো হলো।

একাত্তর টিভি বয়কটের মূল ঘোষণাটি দেয়া হয়েছিল একটি ইসলামী দল থেকে। নিরাপদ সড়ক, হাটহাজারী বা ধর্ষণ বিরোধী হুজুগে আন্দোলনের মতো এই ইস্যুকেও নুরু এনক্যাশ করার চেষ্টা করেছে। নুরুর পাশাপাশি বেশিরভাগ ইসলামী দল ও জামায়াত শিবির এই বয়কটকে ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছে। এছাড়া আজহারি, আরিফ আজাদ ও ইলিয়াসের মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে বিএনপিও যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ একাত্তর টিভির ৫৫ লাখ গ্রাহক থেকে যে ২ লাখের মতো গ্রাহক কমেছে তা সম্মিলিত একটি প্রচেষ্টার ফসল এবং এতে কথিত আওয়ামী লীগারও আছে। ৭১ এর গ্রাহক বড়জোর পাঁচ লাখ কমতে পারে। আমাদের আশার স্থান বাকি পঞ্চাশ লাখ মানুষ। তবে রেডিক্যাল জনসংখ্যা যে ক্রমবর্ধমান তা সংশ্লিষ্টদের আরো আগে বোঝা উচিত ছিল।