• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে মিয়ানমারে হত্যা-গুম অব্যাহত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিহতদের দেহগুলো গুম করে ফেলছে। যার কারণে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়ত কখনোই জানা যাবে না। দেশটির গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে এই খবর বিবিসি বাংলা’র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছিল এবং নড়াচড়া করে এমন যে কোন কিছুর ওপরই গুলি চালিয়েছে তারা।’ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সামরিক বাহিনী দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে। ইয়াঙ্গন শহরের কাছে বাগো শহরে এই সহিংসতা শুক্রবার ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছাতে পুরো একদিন লেগেছে। কারণ ক্র্যাকডাউনের সময়ে শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটা গণহত্যার মতই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।’

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী এক বছরব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি। তখন থেকে মিয়ানমার জুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে।

সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে যাতে দেশটির নেতা অং সান সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পুনঃনির্বাচিত হয় এবং সরকার গঠন করে। তবে নির্বাচন কমিশন এই দাবি নাকচ করে আসছে।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) উৎখাত হওয়া সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র অবরোধ বা আর্মস এমবার্গো ও নো-ফ্লাই জোন করার মত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের ওই বৈঠকে আরও সতর্কতা দেয়া হয় যে মিয়ানমার, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রিচার্ড হোর্সে বলেছেন, সামরিক শাসনের ফলে দেশটিতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দেশটি শাসনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।