• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

অষ্টম মহাদেশ জিলান্ডিয়ার মানচিত্র প্রকাশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা অষ্টম মহাদেশের অস্তিত্বের কথা বলছেন। এবার সেই অষ্টম মহাদেশের সম্ভাব্য মানচিত্র সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে আয়তনসহ আরও কিছু তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এই নতুন মহাদেশটি পৃথিবীর স্থলের অংশ নয়, রয়েছে পানির নীচে। ‘জিলান্ডিয়া’ নামের মহাদেশটি বহু বহু বছর আগে সমুদ্রের অতলে তলিয়ে গেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। 

ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি পৃথিবীতে মহাদেশের সংখ্যা সাত। এই তথ্য এবার বদলাতে যাচ্ছে। মহাদেশের সংখ্যা হতে যাচ্ছে আটটি। অষ্টম মহাদেশ জিলান্ডিয়া নিয়ে  ১৯৯৫ সাল থেকে গবেষণা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। তিন বছর আগে ২০১৭ সালে সেই গবেষণা সম্পূর্ণ হয়। এবার সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে থাকা সেই অষ্টম মহাদেশের নানা তথ্য সামনে এসেছে। কেমন সেই মহাদেশের চেহারা তাও দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা জিলান্ডিয়ার সম্ভব্য মানচিত্র তৈরি করে ফেলেছেন। দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএনএস সায়েন্স এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বহুদিন থেকে। সেই জিএনএস সায়েন্স সংস্থাই অষ্টম মহাদেশের মানচিত্র প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, অষ্টম মহাদেশ জিলান্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে নিউজিল্যান্ডের ঠিক উত্তরে। এই মহাদেশটি প্রায় আড়াই কোটি বছর আগে সমুদ্রে ডুবে যায়। মানচিত্র দেখে বোঝা যায়, অষ্টম মহাদেশ জিলান্ডিয়ার মাঝে জেগে থাকা অংশই এখনকার নিউজিল্যান্ড নামের দেশটি। 

এখন পর্যন্ত জিলান্ডিয়া সম্পর্কে যে যে তথ্য সামনে এসেছে, তা দিয়ে অষ্টম মহাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে এর টেকটোনিক ও ব্যাথিমেট্রিক নকশা প্রস্তুত করেছেন 
নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের অনুমান, সেই মহাদেশের আয়তন ছিল ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটারের মতো। গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে প্রায় তিন হাজার ৮০০ ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে এই মহাদেশটি। 

যদিও ওই মহাদেশের ‘লর্ড হাউ রাইজে বলস পিরামিড’ নামের একটি পাহাড় সমুদ্রের ওপরে বেরিয়ে রয়েছে। এ থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে, সমুদ্রের ভেতরে 
একটা বড় ভূখণ্ড ডুবে রয়েছে। সেটাই অষ্টম মহাদেশ জিলান্ডিয়া। এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে অষ্টম মহাদেশ জিলান্ডিয়ার সম্ভাব্য মানচিত্র সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা।