• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

মৃত্যুদূত ছোট্ট পোকা ট্রম্বিকিউলিড মাইটস

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

ছোট আকৃতির লাল পোকা ট্রম্বিকিউলিড মাইটস কামড়ে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার অনুপ্রবেশ ঘটে। এর কামড়ে স্ক্রাব টাইফাস নামের অসুখে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তাতে শরীরে প্রবল জ্বর হয়। সঠিক সময়ে রোগ ধরা না পড়লে বা চিকিৎসা না নিলে এতে মৃত্যু হতে পারে। বর্তমানে ভারতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আনন্দবাজার পত্রিকা

মাইটস পোকার কামড় খেয়েও মরণের কবল থেকে ফিরে এসেছেন কলকাতার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন কলেজের কর্মী আবীর মন্ডল। ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশনের ভিতরে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় তার চোখের পাতায় কামড় দেয় ওই পোকা। পরের দিন থেকে কাঁপিয়ে জ্বর আসে তার। ১৩ দিনের মাথায় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তিনি ভর্তি হন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ততদিনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে তার কিডনি, ফুসফুস ও লিভার। নরেন্দ্রপুরের কলেজকর্মী আবীর বলেন, পোকার কামড় যে এমন রোগ হতে পারে, তা জানা ছিলো না।

এ ব্যাপারে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল বলেন, এই জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা ও বমি হয়। মূল লক্ষণ, ফিভার উইথ কনফিউশন। কনফিউশন, মানে ঘোর লাগা ভাবের মধ্যে পরিচিতদের চিনতেও অসুবিধা হয় রোগীর। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস বা নিমহ্যানসের সঙ্গে যৌথ সমীক্ষার ভিত্তিতে কলকাতার স্বাস্থ্য ভবন ২০১৭ সালে এক নির্দেশিকায় জানায়, মাইটস বাহিত রোগ নিয়ে কোনো তথ্য নেই। আবহাওয়া বদলের পাশাপাশি কলকাতার শহরতলিতে আবাসন তৈরির হিড়িক এই রোগের কারণ হতে পারে।

এদিকে, স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের ডিরেক্টর প্রতীপ কুন্ড বলছেন, এখন অনেক বেশি রোগ নির্ণয় হচ্ছে। ফলে এমনও হতে পারে যে, রোগটা আগেও ছিলো। তখন জানতে না পারলেও এখন তার কথা জানতে পারছি আমরা। আবার অন্য কিছুও হতে পারে। মাইটস কোথায় আছে, বছরের কোন সময়ে বাড়ছে, ব্যাকটেরিয়ার চরিত্র কেমন, তা না দেখে এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।