দেশে বসেই যেভাবে সম্ভব আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উচ্চশিক্ষা
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২১
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ। বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রেখেছে নাসডাক। আর আধুনিক শিল্পের নতুন যুগে প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতির দেশে–বিদেশি বিনিয়োগ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে সমান তালে এগিয়ে যেতে প্রয়োজন এমন এক দক্ষ জনশক্তি, যাদের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা ও অভিজ্ঞতা।
আর এ প্রয়োজন পূরণের তিনটি উপায় রয়েছে।
প্রথমত, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবাসীদের দেশে কাজের সুযোগ করে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে নানা অসুবিধাও রয়েছে। প্রবাসী কর্মীদের বেতন দিতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার বহিঃপ্রবাহ ঘটে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারায় দেশের জনসংখ্যা।
দ্বিতীয়ত, প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়াতে তরুণদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। দীর্ঘ মেয়াদে এ কৌশলও খুব একটা কার্যকর নয়। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা তরুণেরা দেশে না–ও ফিরতে পারে, উচ্চশিক্ষা শেষ করে বিদেশেই তাঁরা ভালো চাকরি জুটিয়ে নেবেন। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যয় পরিশোধ করতে হবে; পাশাপাশি তাঁদের জীবনধারণের ব্যয়ও রয়েছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় মেটাতে দেশে শিক্ষার্থীর পরিবারকে সম্পত্তি বন্ধক দিতে হতে পারে কিংবা জমানো সঞ্চয়ে হাত দিতে হবে। আবার, জাতীয়ভাবে বৈদেশিক মুদ্রার বহিঃপ্রবাহও বন্ধ হবে না।
অথচ উচ্চশিক্ষা গ্রহণেচ্ছু শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে ইউনেসকো জানিয়েছে, প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক শেষ করতে কম করে হলেও তিন বছর লাগে। এ হিসেবে অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনা করছেন। পশ্চিমা বিশ্বে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক করতে গড়পড়তা খরচ প্রায় ২০ হাজার মার্কিন ডলার। স্নাতকোত্তর করলে খরচ আরও বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীপিছু ২০ হাজার ডলার ধরলে তিন বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যায়। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, এটি কোনো কার্যকর কৌশল নয়।
তাহলে বাকি থাকে তৃতীয় পন্থা, শিক্ষার্থীদের জন্য দেশেই সাশ্রয়ী খরচে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও করপোরেশনের মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক সেন্টার চালু করে এটা করা যায়। এটা করলে উল্লেখিত বার্ষিক ১২০ কোটি মার্কিন ডলারই শুধু সঞ্চয় হবে না, পাশাপাশি আরও দুটি উদ্দেশ্য পূরণ হবে। আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতায়ন হবে, শিক্ষাদান ও গবেষণার মান বাড়বে, পাশাপাশি বৈশ্বিক শিক্ষা আত্মীকরণের মাধ্যমে বাইরেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তবে, এ ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। দেশে আন্তর্জাতিক একাডেমিক সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হবে। অনেক ক্ষেত্রেই এটা হবে বিদেশি বিনিয়োগ। দেশের নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে। অলাভজনক ট্রাস্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা যাবে না; কেননা, বিনিয়োগকারীরা ইস্যুকৃত শেয়ারের বিপরীতেই ইকুইটি বিনিয়োগ করে। আশার কথা, দূরদর্শিতার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ওপরের সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
উচ্চশিক্ষা আন্তর্জাতিকীকরণে সরকারের তিনটি স্তম্ভ হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধিত ২০১০), বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ও স্টাডি সেন্টার বিধিমালা–২০১৪ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০ (এসপিএইচই ২০১৮-২০৩০)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পরিকল্পনা উন্মোচনকালে বলেন: এসপিএইচই: ২০১৮-৩০ দেশের মানবসম্পদকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি পদক্ষেপ। দেশের উচ্চশিক্ষাকে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে এ কৌশল বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এসপিএইচই ২০১৮-৩০–এ স্পষ্টভাবেই বলা আছে: ‘বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; কেননা, অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে দেশেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বিকল্প হিসেবে সরকার বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশে শাখা খোলার অনুমোদন দিতে পারে, যা দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। বিশ্বায়নের যুগে, আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ না দেওয়া হলে এর বিপরীত বিষয় ঘটতে পারে।’
এসব বিবেচনায় সরকার সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন কলেজের স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। সেখানে সেই কলেজের আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হবে। পরীক্ষা ও শিক্ষাদান হবে মূল ক্যাম্পাসের তত্ত্বাবধানে। এ ধরনের স্টাডি সেন্টার শুধু দেশের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগই করে দেবে না, পাশাপাশি আমাদের স্থানীয় শিক্ষকদের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ও একই মডেলে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিতে পারে।
উপমহাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হয়ে উঠতে বাংলাদেশের এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। তবে এ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উন্মোচনে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ড. শামসুল হক সাবেক পরিচালক, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক উপাচার্য, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
[email protected]
- আড়াই মাস পর দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির লাশ, নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন
- মাদারীপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার ২
- দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কে দুদকের অভিযান
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন
- বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পরে দুধ দিয়ে গোসল, ভিডিও ভাইরাল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সভা
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলগত ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- ইলিশের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা : ২৩ ঘণ্টাতেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুদের মাঝে বাংলাদেশিদের খাদ্য বিতরণ
- সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- যুবকদের আইসিটিতে দক্ষ করার উদ্যোগ, ফ্রিল্যান্সিংয়ে গুরুত্ব
- কুয়েতে স্মার্ট এনআইডি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন
- পদ্মা রেল করিডোর ট্রেনে ঢাকা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় খুলনা
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- স্বাস্থ্য সহকারী পদে ভুয়া পরীক্ষার্থী, কারাদণ্ড
- আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে?
- শিখ নেতা নিজ্জর হত্যায় কানাডায় ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
- কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, হতাশায় বিএনপি
- ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ২ জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু হচ্ছে আজ
- অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহ, ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- আবহাওয়া বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাদারীপুরে মামলা করায় বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ।। আহত ১৫
- জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা
- আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিটিংয়ের মাধ্যমে আয় সম্ভব : পরিবেশমন্ত্রী
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেই
- সাত দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন- চীফ হুইপ