• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৪  

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনার চারদিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ চারজন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে তাদের গুলিও করা হয়েছে।

সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন। সজীব তার অনুসারী ছিলেন। ঘটনার পরে মাসুদ তাকে ঢাকা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

মাসুদ বলেন, সজীবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তাকে আইসিউতে রাখা হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। ঘটনার পর থেকে সজিব আর পৃথিবীর আলো দেখেনি। আমার ভাইটাকে তারা মেরে ফেললো।

সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, সজীব আর আমাদের মাঝে নেই। ছাত্র রাজনীতিতে একটি পরিচয়ের জন্য তার অনেক পরিশ্রম ছিল। আমাদের ক্ষমা করে দিস ভাই।

এদিকে হামলার ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনা সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।