• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ

ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিচার শুরু, সাক্ষ্যগ্রহণ ২৩ মার্চ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২০  

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।

বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ মার্চ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন সাবেক ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের উপস্থিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শুনান বিচারক। ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছির নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেন।

এসময় মিজান ও বাছিরের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান এবং এহসানুল হক সামাজী তাদের মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।

এরআগে গত ১৯ জানুয়ারি ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ডিআইজি মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়ার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জোর করে বিয়ে এবং সম্পর্ক গোপনের অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। পরে মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক।

এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত অডিও রেকর্ড বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।