• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

স্বর্ণসহ আটক বিমানের তিন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রিমান্ডে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২০  

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই কেজি ৩২০ গ্রাম স্বর্ণের বারসহ আটক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে দুইদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন। রিমান্ডে পাঠানো তিনজন হলেন- সুমন শিকদার, শাহীন হোসেন ও বেলাল আকন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার সকালে আবুধাবি থেকে আসা একটি বিমান পরিষ্কার করে নামার পর তাদের আটক করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য এক কোটি ১৬ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। আটকদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবুধাবি থেকে আসা বিমানটি পরিষ্কার শেষে নামার পর তিন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে তল্লাশি করতে চান আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এপিবিএন সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন আটকরা। এরপর আটকদের এপিবিএন অফিসে নিয়ে তল্লাশি করা হয়। এ সময় সুমন শিকদারের জুতার ভেতর থেকে ২০ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ২ কেজি ৩৩২ গ্রাম, বাজার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।

আসামিদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, সহযোগী পলাতক আসামি বিমানের টেকনিশিয়ান মো. কালাম সোনার বারগুলো তাদের দিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে নিতে বলে। এতে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সে। আসামিরা চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিমানের সুইপার পদে চাকরি করার সুবাধে চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে একে অপরের সহায়তায় সোনাসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে পাচার করেন। এতে সরকার রাজস্ব হারায়। তাই মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের সহযোগী পলাতক আসামি ও চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্যসহ মূল হোতাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।