• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি বিষয়ে মোমেন-কেরি ফোনালাপ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২১  

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে তিনি ফোন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্যারিস চুক্তির ব্যাপারে কেরির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে এই ইস্যুতে আলোচনায় ফিরে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

মোমেন মার্কিন-বাংলাদেশের পরীক্ষিত সম্পর্কের উদাহরণ টেনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত হিসেবে কেরির নিয়োগে বাংলাদেশ সরকারের সন্তুষ্টির কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা হ্রাসকরণ, অভিযোজন ও উদ্ভুত পরিস্থিতি সামলে এতে খাপ খাইয়ে নেয়ার মত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরেকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো বর্ণনা করেন।

এছাড়াও তিনি জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সভাপতিত্বে (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) সিভিএফ ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) ঢাকা অফিসের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।

কেরি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ যে নজীরবিহীন চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে— তা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী কোপ২৬ সম্ভবত লক্ষ্য অর্জনের সর্বশেষ সুযোগ হতে যাচ্ছে। আর তাই এই লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র অটল ও অনড়।

এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে অব্যহত সমর্থন দিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুর জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কিছু করতে পারেন বলে সম্মত হন।

কেরি আরও বলেন, অনেক দেশ পর্যাপ্ত হ্রাসকরণ ও অভিযোজনের প্রশ্নে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন ও এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন যে— জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যূতি সকলের জন্যই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু।

মার্কিন দূত যত বেশি সম্ভব মানুষকে অর্ন্তভূক্তির জন্য বর্তমান সুযোগকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তারা উভয়েই কোপ২৬ ও অন্যান্য বহুমুখী প্লাটফর্মে নিবিড়ভাবে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হন।