• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী

‘অভিজ্ঞ নেতাদের চেয়েও উপযুক্ত সিদ্ধান্ত মায়ের মাথা থেকেই আসত’

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে সার্বক্ষণিক প্রেরণা জুগিয়ে ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনায় মেয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনে মরণে জাতির পিতার যোগ্য সাথী ছিলেন বঙ্গমাতা।

তিনি জানান, সারাজীবন জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে, স্বাধীনতা অর্জনে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া শেখ ফজিলাতুন্নেছার জীবনাদর্শ বড় শিক্ষা হতে পারে বর্তমান প্রজন্মের নারীদের জন্য।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বাঙ্গালির সব আন্দোলন লড়াই সংগ্রামের নেপথ্য অণুপ্রেরণার অফুরান উৎস হয়ে যিনি কাজ করেছেন, তিনিই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। একাধারে এই মহিয়সী নারী সামলেছেন সংসার, তেমনি শেখ মুজিবের পুরো রাজনৈতিক জীবনেও ছায়ার মতো ছিলেন মুক্তির মন্ত্রণাদাতা হিসেবে।

কালজয়ী এই নিভৃতচারী মহাপ্রাণের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় শনিবার (৮ আগস্ট)। একযোগে এই অনুষ্ঠান চলে শিশু একাডেমি ও গোপালগঞ্জেও। গণভবন থেকে এতে যুক্ত ছিলেন বঙ্গমাতার জ্যেষ্ঠ তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা তার মায়ের ত্যাগ ও সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিলাসিতা থেকে সন্তানদের রক্ষায় কখনো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেননি ফজিলাতুন্নেছা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বার আদর্শ ধারণ করেই তার জীবনকে তিনি চালিয়ে গেছেন। আমি মনে করি মেয়েদের তার আদর্শেই চলা উচিত। যেন নিজের ত্যাগের মাধ্যমে সংসার, দেশ ও প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর করা যায়।

অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতাদের চেয়েও উপযুক্ত সিদ্ধান্ত তার মায়ের মাথা থেকেই আসতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনে মরণে বঙ্গমাতা শুধুই ত্যাগের মহিমা গড়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, বাবাকে মারার পর তিনি নিজে বাঁচতে না চেয়ে বলেছিলেন, আমার স্বামীকে মেরেছ আমিও তার কাছে চলে যেতে চাই।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানেই দুঃস্থ ৩ হাজার ২০০ নারীকে সেলাই মেশিন, ১ হাজার ৩০০ নারীকে নগদের মাধ্যমে ২০০০ টাকা অর্থ সহায়তা ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।