• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

আইটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে : পলক

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৪  

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। আর আইটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মাধ্যমে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ প্রোগ্রামে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহনসহ সব খাতকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা হবে।

ওই অনুষ্ঠানে ওরাকলের গ্লোবাল চিফ ইনফরমেশন অফিসার অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট জে ইভান্সের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি– এ চারটি প্রধান পিলারের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর করা। আমাদের বিভিন্ন নীতি রয়েছে, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি, সরকার ও একাডেমিয়ার সমন্বয়ে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে।

পলক বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হওয়ার হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ৫২ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট চালু করার মাধ্যমে আড়াই হাজার পরিষেবা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে।

শিগগিরই এআই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি করেছি এবং এখন একইসঙ্গে কিছু ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ভিত্তিক সরকারি পরিষেবা চালু হচ্ছে। কীভাবে আমরা আমাদের কৌশলগুলো তৈরি করে এবং নতুন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে শিল্পের বেসরকারি খাতের প্রয়োজনীয়তাগুলো পূরণ করতে পারি, সেই পথ অনুসরণ করছি।