• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

অনাথ ৩৫ জন শিশুর পাশে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৪  

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে পরিবারের সকলকে নিয়ে একসাথে আনন্দ করা। কিন্তু ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলায় অবস্থিত বরিশাল বিভাগীয় বেবী হোমে আশ্রিত পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন অনাথ শিশুরা।

তবে, এবার ওই সকল অনাথ শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য তাদের পাশে দাড়িয়েছেন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন। ৩ এপ্রিল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বিভাগীয় বেবী হোমে গিয়ে সেখানে বসবাসরত শিশুদের সাথে কিছু সময় কাটিয়ে ঈদের উপহার হিসেবে তাদের নতুন পোষাক প্রদান করেন।

এসময় তিনি ঈদের দিনে অনাথ শিশুদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল, দুধ, চিনি, সেমাই, পোলাও চাল, নুডুলসসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় বেবী হোমের উপ-তত্বাবধায়ক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন, গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র মতে, বেবী হোমে আশ্রিত শিশুদের অপনজন বলতে কেউ নেই। অধিকাংশ অনাথ শিশুদের জন্ম হয়েছে কোন অন্ধকার গলিতে, কারো ফুটপাতে, আবার কারো পরিচয় না থাকায় পথশিশু হিসেবে এখানে তাদের ঠাঁই মিলেছে। সমাজের কাছে তারা পরিত্যাক্ত শিশু। বেবী হোমে আশ্রিত অনাথ শিশুদের কোনদিনই তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, তাদের অনেকের বাবা-মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আবার অনেকের বাবা-মায়ের পরিচয়ও জানা নেই। তাই বাবা-মায়ের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার তাদের কোন সুযোগও নেই। তার পরেও পিতৃ-মাতৃ স্নেহে লালন-পালন করা বেবী হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনাথ শিশুদের ঈদের আনন্দ দেয়ার জন্য প্রতিবছরই সাধ্যমতো চেষ্টা করেন।

ছোটমনি নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুশান্ত বালা বলেন, বর্তমানে ছোট মনি নিবাসে বিভিন্ন বয়সের ১৫ জন অনাথ শিশু রয়েছে। ঈদের আগে এসব শিশুদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত নতুন জামা কাপড় দেয়া হয়। ঈদের দিন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাসহ আনন্দ বিনোদনের জন্য দিনভর নানা কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। বিভিন্নভাবে চেষ্টার মধ্য দিয়ে এই সকল শিশুদের সকল রকমের বিনোদন দেয়া হয় ঈদের দিনে।