• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সংকটে মানবিকতার হাত বাড়ানোই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০  

সংকটে অসহায় মানুষের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, দুর্যোগে সবার আগে আসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি বিগত ৭০ বছর মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করেছে মাটি ও মানুষের দল আওয়ামী লীগ। সংকটে মানুষের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।

সোমবার (২৯ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও করোনার দুর্যোগে গত ১০০ দিন ধরে অসহায় ভাসমান মানুষকে প্রতিদিন দুই বেলা খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। েসংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ কর্মসূচিতে যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংকটে সাহসী ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। সংকটকালে মানুষের জীবন-জীবিকা, সুরক্ষা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, করছেন সমন্বয়। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর।

‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করোনাকালে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অধিক সংখ্যক করোনায় আক্রন্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির ৬ জন নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, দলীয় সংসদ সদস্যসহ দেশে বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী আক্রন্ত হয়েছেন এবেং কয়েকজনকে প্রাণ দিতে হয়েছে।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখেরও বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ১০ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে চশমা, মাস্ক, পিপিই, সাবান, স্যানিটাইজার, স্প্রে মেশিনসহ বিভিন্ন সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় জীবনে যে কোনো ত্যাগে তরুণরাই এগিয়ে আসে। তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা মানুষের মধ্যে সাহস যোগাবে। আমি তরুণ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত জনমানুষের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি। সামনের দিনগুলোতে এই শহরের খোলা আকাশের নিচে বাস করে। যারা ফুটাপাতে বাস করে, যাদের বসবাস রেলস্টেশনে, টার্মিনালে, ফ্লাইওভারে নিচে থাকে এদের কোনো তালিকা নেই। এদের তালিকা আপনাদেরই তৈরি করতে হবে। এই ভাসমানদের ১০০ দিন শেষ হবার পরেও আপনারা নতুন কর্মসূচি নেবেন।