• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শেখ হাসিনা জেগে আছে বলেই বাংলাদেশ ঘুমাতে পারে: কাদের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা জেগে আছে বলে বাংলাদেশ ঘুমাতে পারে। এটাই হলো বাস্তবতা। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর তারই কন্যা শেখ হাসিনা সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন। গত ৪৪ বছরে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। তিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশকে গড়ে তোলার কাজ করেছেন। কোন্দলে জর্জরিত দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং আন্দোলনের মাধ্যমে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেই অবস্থা থেকে দেশকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসতে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম, দক্ষ প্রশাসকের নাম, সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম, জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা।

দলীয় প্রধানের চিন্তা ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনা জনগণকে যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করছেন। তাই আজ তার নেতৃত্বে যে শুদ্ধি অভিযানের শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে আমাদের শুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার চ্যালেঞ্জ মেকাবিলা করতে হবে। এর জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, এটাই হোক আজকের অঙ্গিকার।

নিজ বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের পলাশীর প্রান্তরে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার কথা স্মরণ করেন। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ষড়যন্ত্রকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপিরবারে নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এর আগে, বিকাল ৩টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি জাতীয় ও সাধারণ সম্পাদকরা দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে দলের কর্মীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।