• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শিশু খেতে না চাইলে যা করবেন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯  

বাচ্চা পরিপালনে সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাদের খাওয়ানো। মায়েদের কাছে এইটা একটা ছোট-খাট যুদ্ধের মত। আর এই সময়টা বাচ্চার মায়েরা অনেক চিন্তিত থাকেন বাচ্চার স্বাস্থ্য নিয়ে। আর বাচ্চারাও খাবার খাওয়া নিয়ে এসময় সবথেকে বেশি ঝামেলা করে। 

আসুন জেনে নেই শিশুকে কেমন করে খাওয়াবেন সেই সম্পর্কে-

 

♦শিশুর পছন্দমত খাবার দিন:

শিশুকে তার পছন্দমত খাবার খেতে দিন। তবে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। শিশুর পছন্দের বাইরে জোর করে খাবার খেতে দিলে খাবারের প্রতি অনীহা জন্মাবে। তাই আমাদের উচিত শিশুদের পছন্দমত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো।
 

♦পূর্ন ভাবে খিদে পেলেই খাবার দিন:

খিদে না পেলে বাচ্চারা খেতে চায় না। আর আমরা প্রায় সময়ই বাচ্চাকে জোর করে খাওয়াতে চেষ্টা করি। এতে বাচ্চারা কান্নাকাটি করে, এতে তারা খিটখিটে হয়ে যায়  অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা  বমি করে, বদ হজম হয়।  তাই খেয়াল রাখুন বাচ্চার দিকে  ও শিশুর খিদে পেলেই শুধু খেতে দিন।

 

♦যখন তখন খাওয়ানো পরিহার করুন:

 

শিশুকে যখন তখন খেতে দিলে শিশুর খিদে নষ্ট হয় ও সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে ওঠে না। তাই  শিশু  খাচ্ছে না বা খেতে চাইছে না,  এই অযুহাতে যখন তখন খাওয়াবেন না। 

 

 

♦ নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খাওয়ান:

কোনো শিশুকে কি খাওয়াচ্ছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কখন খাওয়াচ্ছেন। শিশুকে সবসময় নিয়ম বা সময়সূচী মত খাওয়াতে অভ্যস্ত করুন। এতে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও দেহগঠন ভালো ভাবে হবে।

 

 

 

♦ প্রতিবার খাওয়ানোর পর বিরতি দিন:

 

প্রতিবেলা খাবারের মাঝখানে বিরতি দিন।এসময় অন্য খাবার খাওয়ালে খিদে নষ্ট হয়। দুই বছরের বেশি বয়সের বাচ্চাদের অন্তত ২-৩ ঘন্টা

অন্তর খাবার দিন। আর এই মাঝের সময়টাতে বাচ্চাকে নিজের মত খেলাধুলা বা চলাফেরা করতে দিন। এতে খাবার হজম তাড়াতাড়ি হবে ও বাচ্চা ক্ষুধা অনুভব করবে।

 

♦ কার্টুন বা টিভি দেখিয়ে খাওয়াবেন না:

 শিশুদের টিভি বা কার্টুন দেখিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস বানাবেন না। টিভি বা কার্টুন দেখিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করলে,  শিশু এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, যা শিশুর স্বাভাবিক খাদ্যাভায়াএ বিরূপ প্রভাব ফেলে। যার ফলে খাবার গ্রহনের রুটিন ও হজমে সমস্যা করতে পারে। তাই এই বদ অভ্যাস গঠন থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।

 

 

♦ অযথা জোর করবেন না:

জোর করে খাওয়ানোয় শিশুর উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয়। জোর করে খাওয়ালে খাবারের প্রতি শিশুর একটা ভয় না অনিচ্ছা চলে আসে ও অনীহা সৃষ্টি হয়। যার ফলে শিশু আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাই জোর করে শিশুকে খাবার খাওয়াবেন না। সময় নিয়ে বুঝিয়ে বুঝিয়ে শিশুকে খাওয়ান।

 

 

 

♦ খাবারে ভিন্নতা নিয়ে আসুন:

একই খাবার বাচ্চাদের প্রতিবেলায় খাওয়াবেন না। এতে বাচ্চাদের একঘেয়েমিতা চলে আসে। তখন শিশুর ওই খাবারে অনিহা চলে আসে, তখন  শিশু খেতে চায় না। তাই প্রতিদিন একঘেয়ে খাবার না দিয়ে খাবারে ভিন্নতা আনুন।

 

 

 

♦ বাইরের খাবার খাওয়াবেন না:

বাইরের খাবার শিশুর মুখের স্বাদ নষ্ট করে। এছাড়া বাইরের খাবারে শিশুর জন্য কোনো পুষ্টি থাকেমা বললেই চলে। আর এটা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই খাবার অতিরিক্ত সুস্বাদু করা হয়, বিভিন্ন রাসায়নিক দিয়ে, আর শিশু একা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আএ কোনো ন্যাচারাল খাবারই খেতে চাইবে না। তাই শিশুকে যখন তখন চকলেট, চিপস বা অন্য কোনো ফার্স্ট ফুড জাতীয় মুখরোচক খাবার খাওয়াবেন না।