• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

শিবচরে সর্বত্র সেনাবাহিনীর টহল

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০  

মাদারীপুরে করোনা আক্রান্ত ১০জনের মধ্যে একজন বৃদ্ধ মারা গেছে। বাকি ৯জন সুস্থ্য হয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছেন। জেলায় বর্তমানে নতুন কোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নেই। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম এমন দাবি করেছেন। এদিকে শিবচরে ১১ দিন ধরে লকডাউন নিয়ন্ত্রিত এলাকাসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়মিত টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। পাশাপাশি মানুষের মাঝে হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ করছেন।

জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, “শিবচরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ১৯ মার্চ শিবচর উপজেলায় ৪ এলাকাকে নিয়ন্ত্রিত এলাকা ঘোষণা করা হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলায় চলাচলের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া গণপরিবহনসহ সকল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে। গত ১ মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে মাদারীপুরে আসেন ৩ হাজার ৫১৩ জন। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় ১ হাজার ৩৬৯ জনকে। ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে শেষ হয় ৯৪৪ জনের। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪২৫ জন ও মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন ২০ বছরের এক কলেজ ছাত্র।” এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুদ্দিন গিয়াস, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো: আনোয়ার হোসেন ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শিবচরে ১১ দিন ধরে লকডাউন নিয়ন্ত্রিত এলাকাসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়মিত টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজন ছাড়া অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করার অনুরোধ করছেন মাইকিং করে। এছাড়াও সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানুষের মাঝে হান্ড গ্লাপস, মাস্ক বিতরণ করেন সশস্ত্র বাহিনী। বিশেষ করে শিবচর ৪ ঝুঁকিপূর্ন এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী।

সশস্ত্র বাহিনী জানান, করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে গত মঙ্গলবার থেকে শিবচরসহ মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন বাজার, রাস্তাসহ গুরুত্বপূর্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। জেলা ও উপজেলা শহরে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। করোনা মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছে। কেউ যাতে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যায়। সবাই যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে। হান্ড গ্লাপস ও মাস্ক পড়ে সবাই যাতে বাইরে বের হয় সে ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পালন করা হচ্ছে।