• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

লিটন চৌধুরীর অবদান: আগামী প্রজন্মের জন্য স্বপ্নীল শিবচরের হাতছানি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

 

 

৯বছর আগে যে শিবচর উপজেলার স্নাতক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে মাদারীপুর জেলা সদরে যেতে হতো আর মাস্টার্স পড়ার সুযোগই ছিল না। সেই উপজেলায় মাত্র বছরের ব্যবধানে ৪টি কলেজে এখন অনার্স একটি কলেজে মাস্টার্স পড়ছে শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সুযোগ পাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে অনার্সসহ ডিপ্লোমা পড়ার সুযোগ

 

এছাড়াও হাতে নেয়া হয়েছে ভারতের আইআইটির আদলে আইসিটি ইনষ্টিটিউট হাইটেক পার্ক প্রকল্প, ইনষ্টিটিউট অব হেলথ এন্ড টেকনোলজি, নার্সিং ইনষ্টিটিউট ট্রেনিং সেন্টার, কারিগরি ইনষ্টিটিউট, জুট ইনষ্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনসহ নানান প্রকল্প। এছাড়াও সকল প্রাথমিক মাধ্যমিক স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় একাধিক ভবনসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংযোজনের সাথে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সাথে উপজেলাটিকে মুক্তিযুদ্ধময় আধুনিকতায় রুপ দেয়ায় প্রায় ১১ হাজার নতুন ভোটার, নতুন প্রজন্ম অভিভাবকদের মাঝে স্বপ্নিল এক আবহ তৈরি হয়েছে। শিক্ষা বান্ধব বারবারের সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগ সংসদীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক নূর--আলম চৌধুরীর নিরলস পরিশ্রম সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপ শিবচরকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে রুপ দিচ্ছে বলে দাবী অভিভাবক শিক্ষক সমাজের।

 

সরেজমিনে সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক সুত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ছিলেন শিক্ষানুরাগী। নারী শিক্ষার অগ্রসরে তার ছিল বিশেষ ভূমিকা। ১৯৯১ সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ৩য় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার মৃত্যুতে বিএনপি সরকারের আমলে উপ নির্বাচনে তার বড় ছেলে নূর--আলম চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শুরু থেকেই এলাকার প্রতি বিশেষ করে শিক্ষার প্রতি তার রয়েছে বিশেষ নজর যার ফলে শিবচর উপজেলার ২শ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৭টি মাদ্রাসা, ৬টি কলেজেই রয়েছে একাধিক ভবন। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে নির্মান করেছেন ৩শ৩৪ টি ব্রীজ কালভার্ট, প্রায় ৭শ৯১কি.মি পাকা সড়ক, প্রায় ২শ কি.মি ইটের রাস্তা (প্রায়) তার তার পরিবারের একাধিক বৃত্তিও চালু রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে পদক্ষেপ ছিল শুরু থেকেই যার ফলে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে শিক্ষার হার ছাড়িয়েছে ৭০ ভাগ আর সাক্ষরতার হার দাড়িয়েছে ৯২ ভাগ এ।

 

যে উপজেলার শিক্ষার্থীরা ২০০৯ সালেও স্নাতক(ডিগ্রী)পরীক্ষা দিতে মাদারীপুর যেত। শিক্ষাবান্ধব লিটন চৌধুরীর শিক্ষার প্রতি টানের কারনেই সেই উপজেলার ৪টি কলেজ ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ, সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ, .নুরুল আমিন কলেজ , রিজিয়া বেগম মহিলা কলেজে এখন একাধিক বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে বিষয়ে অনার্স কোর্স ছাড়াও মাস্টার্স কোর্সও চালু হয়েছে আরো আগেই। কিন্তু শিক্ষা বান্ধব লিটন চৌধুরী এখানেই থেমে নেই। তিনি শিবচরকে ঢাকার পাশের শিক্ষা নগরী গড়ার ঘোষনা দিয়েই থেমে থাকেননি। নতুন বছরের ১ম দিন জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভূক্ত শেখ হাসিনা আইসিটি ইনষ্টিটিউটের কম্পিউটার সাইন্স,ইলেকট্রিক টেলি কমিউনিকেশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি অনার্স কোর্স চালু হবে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে।

 

এখানে একইসাথে সার্টিফিকেট কোর্স ইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর মাস, মাস বছর মেয়াদি কোর্স শুরু হবে।হাতে নেয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। ভারতের আআইটি- আদলে প্রায় ১শ একর জায়গার উপর উপজেলার কুতুবপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড হাইটেক পার্ক, ১৮৩ কোটি টাকা ব্যায়ে পৌরসভায় শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, একর জমির উপর শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি (প্যারামেডিকেল কলেজ), ৩একর জমির উপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা নার্সিং ইন্সটিটিউট ট্রেনিং সেন্টার, রেজাউল করিম তালুকদার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ , জুট ইনষ্টিটিউট নির্মান প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। এরমধ্যে ৩টি প্রকল্প ইতোমধ্যেই এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে ভাল ভাল চাকুরীতে সুযোগ পাবেন।

 

২০০৮ সালে স্নাতক পরীক্ষায় অংশ নেয়া হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের সময় ডিগ্রী পরীক্ষা মাদারীপুর গিয়ে দেয়ার কারনে অর্ধেক শিক্ষার্থীই ঝড়ে পড়তো। আর মাস্টার্স পড়তে হলে যেতে হতো মাদারীপুর ফরিদপুর। আর এখন ডিগ্রী অনার্স সব পরীক্ষাই শিবচরেই হয়। আর মাস্টার্সও দাদাভাই কলেজে পড়া যায়। এর সব অবদানই প্রিয় নেতা লিটন ভাইয়ের।

 

কাইয়ুম আলী নামের এক অভিভাবক বলেন, লিটন চৌধুরীর শিক্ষার প্রতি টান অভাবনীয়, বিস্ময়কর। তিনি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষাকে সবার উপরে রেখেছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষিত হয়ে উঠছেন। শিবচরবাসির সৌভাগ্য লিটন ভাই এর মতো নেতা পেয়ে।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ সামচুল হক বলেন, ১০-১৫ বছর আগের শিবচরের শিক্ষা ব্যবস্থা আর এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা রাতদিন পার্থক্য। সব স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় এখন একাধিক ভবন আধুনিক সুযোগ সুবিধা। লিটন চৌধুরীর শিবচরকে ঢাকার পাশের শিক্ষা স্বাস্থ্য নগরী গড়ে তুলতে ঘোষনা দিয়েই থেমে থাকেননি কাজও শুরু করেছেন। আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সত্যি শিবচরের আগামী প্রজন্মর জন্য উজ্জ্বল এক ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।

 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হাফিজুল্লাহ মিয়া বলেন, শিবচরে শিক্ষার অগ্রগতি অভাবনীয়। বারবারের সংসদ সদস্য লিটন চৌধুরীর বাবাও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যরা উপজেলার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন। যেখান থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা বৃত্তি লাভ করেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে লিটন চৌধুরীর গৃহিত পদক্ষেপ ভবিষ্যত প্রজন্মকে মানবসম্পদে রুপ দেবে।