• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মিন্নিকে নিয়ে বেশি উৎসাহী না হতে পুলিশকে হাইকোর্টের সর্তকতা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯  

 

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যায় প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে পুলিশ যেন বেশি উৎসাহী না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ওই ঘটনায় মাদককে প্রাথমিক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে আদালত বলেছেন, দেশে এত পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড রয়েছে এরপরও এত মাদক আসে কোথা থেকে? 
রিফাত হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ, এ হত্যার ঘটনায় সিআইডি বা পিবিআইকে দিয়ে তদন্ত ও এ মামলার আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের শুনানিতে রবিবার এসব মন্তব্য করেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। আদালত রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
হাইকোর্ট বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত যে তদন্ত হচ্ছে তাতে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তবে মূল আসামিদের রেখে পুলিশ যেন মিন্নিকে নিয়ে বেশি উৎসাহী না হয়। আর যদি রিমান্ড বা অন্য কোনো বিষয়ে মিন্নির পরিবারের কোনো আপত্তি থাকে তাহলে তারা আদালতে আবেদন করতে পারবেন। 
হাইকোর্ট আরো বলেন, রিফাত হত্যায় প্রাথমিক কারণ মাদক বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমাদের কথা হলো দেশে দুই লাখ পুলিশ রয়েছে, বিজিবি ও কোস্টগার্ড রয়েছে, এরপরও মাদক কিভাবে আসে? বরগুনা একটি ছোট শহর। মূলত মাদক নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল? তারা যদি তৎপর হতো তাহলে হয়ত এ ঘটনা ঘটত না।
রিফাত হত্যাকাণ্ডের দিন গত ২৬ জুন বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে ফুঁসে ওঠে বরগুনার মানুষ। এ ঘটনায় পরদিন হত্যার মূলহোতা নয়ন বন্ডসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন রিফাতের বাবা মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। আসামিরা হলো সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। এছাড়া আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।