• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির নতুন সিদ্ধান্ত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ শিবচর উপজেলা ছাড়াও পুরো জেলাকে করোনামুক্ত করতে নেয়া হয়েছে কয়েকটি নতুন সিদ্ধান্ত। জেলায় নিদিষ্ট সময় ছাড়া কেউ খাবার হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কাঁচামালের দোকান করতে পারবে না। সব চায়ের দোকান ও জনসমাগম হয় এমন সব দোকান বন্ধ রাখতে হবে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে জীবানুনাষক স্প্রে করতে হবে, ঝোপঝাড় ও ময়লার স্তূব পরিস্কারসহ বাজারগুলোতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্য মাধ্যমে প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনের তদারকি করতে হবে। প্রবাসীদের পাসপোর্টের ফটোকপি সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রবাসীদের মধ্যে যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছে তাদের বাড়িতে স্টিকার করে দিতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে মাদারীপুর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির একটি সভা এ সব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্যরা।

 

সভায় সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি খান মো. শহীদ প্রশাসনের কাছে জানতে চায়, একটি জাতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে করোনাআক্রান্ত ৬ জনের সংস্পর্শে ছিলেন ৩৫০ জন। আর এদের থেকে ১০৭ জনকে চিহ্নত করা হয়েছে। তাহলে বাকি ২৪৩ জন এখনো কোথায়? তার এই প্রশ্নের উত্তরে জেলার সিভিল সার্জন বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা ডাইরেক্ট কন্টাক্ট, ইনডাইরেক্ট কন্টাক্ট ও মিস কন্টাক্ট এ তিন ভাবে করোনা ছড়াতে থাকে। ডাইরেক্ট কন্টাক্ট বলতে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের বোঝানো হয়, ইনডাইরেক্ট কন্টাক্ট বলতে প্রতিবেশি, বন্ধু বা সহকর্মী। আর মিস কন্টাক্ট অপরিচিত ব্যক্তি ও যাত্রা পথে পথচারী। ডাইরেক্ট কন্টাক্ট, ইনডাইরেক্ট কন্টাক্টে যারা থাকবে তাদের বের করা সম্ভব। এছাড়া বাকিদের বের করা পসিবল নয়। তাই প্রয়োজন সচেতনতা ও সর্তকতা।
 

এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, মিস কন্টাক্ট খুবই ভয়ানক। পত্রিকায় ৬ জনের সংস্পর্শে ৩৫০ জন। আর এই ৩৫০ জন থেকে সাতে তিন লাখে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই করোনার প্রতিরোধ একটি বড় চ্যালেন্স।’
 

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে আমাদের আরো শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। করোনা সাধারণ কোন দুর্যোগ নয়, মহা দুর্যোগ। শিবচরসহ অন্য উপজেলাগুলোতে ঝুঁকি বাড়ছে। আজ থেকে সব কয়টি উপজেলার ইউএনওকে নতুন ওই সিদ্ধন্তগুলো বাস্তবায়ন করতে বলা হবে। আশা করছি দুই-একদিনে মধ্যে তা কার্যকর হবে।’