• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বীমায় ‘একচুয়ারি’ ডিগ্রি নিতে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন ৫ শিক্ষার্থী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২১  

ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসার শর্তে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পাঁচ শিক্ষার্থী। বীমা বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি ‘একচুয়ারি’ নিতে দেশটিতে যাচ্ছেন তারা।

সোমবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় অভাব, আমাদের একচুয়ারি নাই। যারা এ নিয়ে পড়াশোনা করে তারা বিদেশে চাকরি পায়, আর আসে না। লন্ডন থেকে একজনকে এনে দিয়েছিলাম। অবশ্য, এখন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, একচুয়ারি নিতে আগ্রহীরা সরকারি খরচে লন্ডন যাবে। তারা শিক্ষা গ্রহণ করে ফিরে এসে বীমা শিল্পে কাজ করবে। আরও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা পাঁচ জন শিক্ষার্থী ঠিক করেছি। তারা একচুয়ারি পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে যাবে, তাদের সব খরচ আমরা দেব। তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকবে পড়া শেষ করে দেশে আসবে।’

‘আমরা চাই, মানুষ বীমা সম্পর্কে আরও আস্থাশীল হোক। এতে তারা যেন সুফলটা ভোগ করতে পারে। সেজন্য বীমা পদ্ধতির আধুনিকায়ন ও যাবতীয় আইন করে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে বীমার প্রিমিয়ার জমা দেয়া ও ক্ষতি নিরূপণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন।’

স্বাস্থ্য বীমা সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বীমায় গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বীমা দাবিপূরণে সতর্ক থাকতে হবে৷ গ্রাহকের পাওনা সহজে পাওয়ার বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ক্ষতি দেখিয়ে কেউ যেনো বীমা দাবি করতে না পারে সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালুর করা হয়েছে। বার্ষিক ৮৫ টাকা দিয়ে একটা পলিসি করতে পারবে। এক্ষেত্রে নতুন বিবাহিত কাপল বীমা করলে সন্তান শিক্ষা সমাপনী পর্যন্ত আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না, এরকম ব্যবস্থা করতে হবে। বার্ষিক ২৮৫ টাকা দিয়ে একজন খেলোয়াড়ও নিজের জীবন সুরক্ষিত রাখতে পারবে। প্রবাসীদের জন্যও বীমার সুযোগ রাখা হয়েছে।’

সম্মাননা ও শিক্ষা বীমা প্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে গিয়ে সম্মাননা দিতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু করোনা আমাকে একরকম বন্দি করে দিয়েছে। কারণ আমি বের হলে হাজার খানেক লোকের কাজে সম্পৃক্ততা হয়। এতে ঝুঁকি তৈরি হয়। নিজের জন্য তো অন্যের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।

এবারের বীমা দিবসের স্লোগান- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার।’