তৃণমূলের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে সরকার
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দেশের প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নকে শতভাগ পরিকল্পনার অধীনে আনার লক্ষ্যে উপজেলাভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরকে (এলজিইডি) নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতি ইঞ্চি জমি পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে কাজে লাগাতেই ‘উপজেলা পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন’ নামে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আশা করছি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্যে তৃণমূলের চেহারা পাল্টে দেয়া যাবে।
সূত্র জানায়, সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা বা বিভাগীয় শহরসহ জেলা শহরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ইতোপূর্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করলেও উপজেলা পর্যায়ে এমন কোন পরিকল্পনা ছিল না। এই প্রথমবারের মতো উপজেলা পর্যায়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় আনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অতি গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে এলজিইডিকে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সরকারের গৃহীত আমার গ্রাম আমার শহর মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। বৈদেশিক কারিগরি সহায়তায় উন্নত বিশ্বের ন্যায় এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। হাওড়, পাহাড়, চর ও নদ-নদী সমৃদ্ধ এলাকার জন্য পৃথক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে সরকার। এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে দেশের সকল স্থানে একযোগে কাজ করা হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, কয়েকটি করে উপজেলাভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে দীর্ঘ সময় লাগে বিধায় এই প্রথমবারের মতো সারাদেশে একই সময়ে দেশীয় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিদেশী কারিগরি সহায়তা নিয়ে একসঙ্গে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় টেকনিকেল এসিটেন্ট প্রপোজাল পারফর্মার (টিএপিপি) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। পরিকল্পনা প্রণয়নের পর সরকার দেশী ও বিদেশী উদ্যোগে ও অর্থায়নে এসব মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করবে। সরকার এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই করতে চায়। সেই অনুযায়ী কয়েক ধাপে এসব মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সকল স্থাপনার নির্মাণকাজের গুণগত মান বজায় রাখতে এবং উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশের সকল স্থানকে শতভাগ পরিকল্পনার আওতাধীন করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপজেলা পর্যায়ে এ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, মাস্টারপ্ল্যানের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে উপজেলা পরিষদের কার্যকরী কমিটির হাতে। কমিটির সদস্যগণ কর্তৃক এ মাস্টারপ্ল্যানের সার্বিক কর্মকা- পরিচালিত হবে। মূলত সরকার আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবে রূপ দিতে ও উপজেলা পরিষকে কার্যকরী করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেল পরিষদের কার্যাবলী সংশ্লিষ্ট আইনে উপজেলাভিক্তিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি এত বছরেও। এই প্রথমবারের মতো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডেল্টাপ্ল্যানের ৫ হটস্পট রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তা বাস্তবায়নে তৈরি করা হবে এসব মাস্টারপ্ল্যান। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ে শতভাগ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে মাস্টারপ্ল্যান প্রতিটি বিভাগ ও অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা এ পরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়ন করা হবে।
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদের একটি নির্বাহী কমিটি থাকবে। যে কমিটি তার উপজেলায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করবে ও কেউ তা বাস্তবানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে তাও নিয়ন্ত্রণ করবে। এ মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকার নিজেও কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ বা কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এমনকি কেউ মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে কাজ করলে বা ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর ফলে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় কোন প্রকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা পরিষদেও অনুমতি ছাড়া কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে গঠিত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যেই কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে তা পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত নির্দিষ্ট কাজের জন্য ঘোষিত নির্দিষ্ট জমিতেই হতে হবে। এছাড়া যে কোন স্থাপনা বা খেলার মাঠ এমনকি নতুন রাস্তা তৈরি করলেও মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী হতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী একযোগে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ অতি দ্রুতই এর প্রক্রিয়া শুরু করবে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে একটি পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী সুশং চন্দ্র আচার্যসহ বিভিন্ন সংস্থার পরিকল্পনাবিদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সদ্য অবসরে যাওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে কি কি করণীয় ও কিভাবে একটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও প্রতিটি গ্রামকে এ মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আনতে হবে এবং কি কি সুবিধা সন্নিবেশিত করা যাকে, কি কি অসুবিধা হতে পারে বা মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্টে বিস্তারিতভাবে তথ্য উপস্থাপন করেন। সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণয়নকৃত ১৪টি উপজেলা মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে প্রশ্ন তুললে বলা হয়, আগের পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করেই নতুন মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। পর্যালোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে দেশের একটি উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান আগামী তিন মাসের মধ্যে করতে নির্দেশ দিলে এত কম সময়ের মধ্যে সূক্ষ্মভাবে ও নির্ভুল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না বলে সভার পক্ষ থেকে জানানো হয়। পরে তা বাড়িয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এ মাস্টারপ্ল্যান পাইলট প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করবে সরকার। এতে সফল হলে সরকার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাগুলোকে দ্বিতীয় পর্যায়ে বেছে নিয়ে প্ল্যান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চায়। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল উপজেলাকেই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় এনে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড নিশ্চিত করা হবে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
পর্যালোচনা সভায় বলা হয়, দেশের সকল প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত ব্যবস্থা চালু হওয়ায় একইসঙ্গে নাগরিকদের জীবনমান আগের চেয়ে এখন অনেক উন্নত হয়েছে। ফলে দেশের সকল উপজেলা সদরে ও এমনকি গ্রামের যত্রতত্র স্থানে ইচ্ছামতো নানা প্রকার স্থায়ী স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোন প্রকার পরিকল্পনা ছাড়াই বিশাল বিশাল ভবন বা অট্টালিকা গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। পরিকল্পনা ছাড়া এসব স্থাপনা নির্মাণ করায় এসব স্থাপনা একটি দেশের টেকসই উন্নয়নে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে পরিকল্পনাহীন উন্নয়নে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। তাই এখন থেকেই উপজেলা পর্যায়ের সকল কিছু একটি মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আনতে চায় সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার এর আগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দেশের সমতল উপজেলাগুলোর মধ্যে মোট ১৪টি উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। এ প্ল্যান তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে চার বছর। এরপর আবার নতুন করে আরও ১৫ উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। যেগুলো করতে সময় লাগছে প্রায় ৩ বছর। তবে এসব উপজেলার কোনটাই পাহাড় হাওড় কিংবা চরাঞ্চল বা নদ-নদীবেষ্টিত কোন উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান করা হয়নি। তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সমতলের বাইরের বিশেষ যে কোন একটি উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান প্রাথমিকভাবে তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলার গ্রাম ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সকল স্থাপনা বা অবকাঠামোকে একটি পরিকল্পনার আওতায় এনে ভবিষ্যত প্রজন্মের উন্নত বাংলাদেশ গঠন করতেই সরকার আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি উপজেলার কোথায় কোন রাস্তা হবে, কতটি বিদ্যালয়, খেলার মাঠ পার্ক বা কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কোথায় গড়ে উঠবে বা সকল প্রকার স্থাপনা বা অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে তা ঠিক করতে তথা সারাদেশকে শতভাগ পরিকল্পনাধীন করে গড়ে তুলতে উপজেলাভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা বা বিভাগীয় শহরসহ জেলা শহরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পূর্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করলেও উপজেলা পর্যায়ের সার্বিক বর্তমান ও ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য কোন মাস্টারপ্ল্যান নেই যা আমরা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা উপজেলা পরিষদকেও কার্যকরী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। উপজেলাভিত্তিক এ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কৌশল নির্ধারণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অতি গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই কমপক্ষে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে এলজিইডিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এর বাস্তবায়ন করতে চাই। উন্নত বিশ্বের ন্যায় জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে দেশী ও বৈদেশিক কারিগরি সহায়তায় এসব মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। হাওড়, পাহাড়, চর ও নদ-নদী সমৃদ্ধ এলাকার জন্য পৃথক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। যাতে এ প্ল্যান অনুযায়ী আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মেও জন্য সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে পারি।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, কোন দেশের তৃণমূল পর্যায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য উপজেলা পর্যায়ের সকল স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণেও একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে ও বর্তমান দেশের ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতি ইঞ্চি জমিকে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে কাজে লাগাতেই উপজেলা পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন নামে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনা প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়নর করবে উপজেলা পরিষদ। এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদেও কার্যকরী কমিটি সকল স্থাপনা বিনির্মাণের সার্বিক কর্মকান্ড তদারকি করবে। কেউ মাস্টারপ্ল্যানের বাইরে যাতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ না করতে পারে সেজন্য কমিটি ব্যবস্থা নেবে ও নিয়মের কেউ ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী শাস্তিও প্রয়োগ করা হবে। সারাদেশে এলজিইডি এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত