• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

করোনার নানা উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতে পারে এলাচ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২০  

মহামারি করোনাভাইরাসের অন্যতম উপসর্গ হলো শুকনা কাশি। অন্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, শরীর ব্যথা, গন্ধ বোধ চলে যাওয়া ইত্যাদি। তবে কোভিড-১৯ রোগীকে কাবু করে ফেলে শুকনা কাশি। এই কাশি এক পর্যায়ে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে। তখন রোগীর লাগে অক্সিজেন, যেতে হয় আইসিউতে। তাই এই সময়ে নিয়মিত এলাচ খেতে পারলে শুকনা কাশি তো যাবেই, এর সঙ্গে করোনাকালীন পেটে প্রদাহ, বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দাও দূর হবে।

প্রত্যেকের বাড়ির রান্নাঘরে থাকে এলাচ। এই মশলাটি সুগন্ধীর জন্য বেশি পরিচিত। তবে এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরা, জীবানুনাশকও বটে। ছোট্ট এই মশলাটি সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং ঋতু পরিবর্তনের জ্বর থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এমনকি ক্লান্তি দূর করতেও এলাচি দেওয়া চায়ের জুড়ি মেলা ভার।

এলাচে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য পরিপোষক ভিটামিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট মজুত রয়েছে। নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন, ভিটামিন এ, সি ছাড়াও সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম প্রভৃতি আছে এলাচে। 

এই ক্রান্তিকালে প্রতিদিন একটা বা দুটা করে এলাচ খেলে করোনার আনা উপসর্গ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এবার জেনে নিন বিস্তারিত -

শুকনা কাশি ও সর্দি দূর করে

করোনার প্রধান উপসর্গ শুকনা কাশি। আর এই কাশিকে জব্দ করতে পারেন ছোট্ট মশলা এলাচ দিয়ে। এক কাপ গরম পানিতে মধু এবং বেশ কয়েকটি ছোট এলাচ দিন। এবার তা পান করুন। কয়েকদিন পান করলেই কমে যাবে গলা ব্যথা। রেহাই পাবেন শুকনা কাশি থেকেও। এলাচ মুখে রাখলেও শুকনো কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শুধু কাশিই নয়, সর্দিও দূর করে এলাচ।

হার্টবিট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে 

আমাদের রক্তের, কোষের ও শরীরের ফ্লুইডে উপস্থিত একটি অন্যতম জরুরি উপাদান হল পটাশিয়াম। এলাচে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের হার্টবিটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপকেও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তবাহে রক্ত চলাচলও ঠিক রাখে এই এলাচ। করোনাকালীন সময়ে অনেক মানুষেরই নানারকম দুশ্চিন্তা ও দীর্ঘসময় ধরে এক জায়গায় বন্ধ থাকতে থাকতে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত খেতে পারেন এলাচ। 

রক্ত স্বল্পতা দূর করে

মেয়েদের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা হল অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা। নানা কারণে মেয়েরা কম বয়স থেকেই রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন। এলাচে প্রচুর পরিমাণে লোহা মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট হিসেবে মজুত থাকে, যা এক্ষেত্রে উপকারী। যাদের এই সমস্যা আছে তারা নিয়মিত এলাচ খেলে উপকার পাবেন। এই সমস্যাটি কারও মধ্যে থাকলে তার কিন্তু ইউমিনিটি খুবই দুর্বল। তাই চায়ের সঙ্গে, অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এমনকি চিবিয়েও খেতে পারেন এলাচ। আর এভাবে এলাচ খেয়ে রক্তস্বল্পতা দূর করে শরীরে ইউমিনিটি বৃদ্ধি করুন। কেননা করোনাকালে ইউমিনিটির উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

হজমশক্তি ও ক্ষুধা বাড়ায়

করোনায় আক্রান্তদের শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পেটে প্রদাহ, বমি বমি ভাব এবং ক্ষুধা মন্দা। আর এই সমস্যাগুলো দূর করতে এলাচের জুড়ি মেলা ভার। খাবার পর এলাচ খেলে তা গ্যাসের সম্ভাবনাকে কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। পেটে প্রদাহ, বমি বমি ভাব দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরি এলাচ। এছাড়া এলাচ আমাদের মিউকাস মেমব্রেনকে আরাম দেয়। ফলে অ্যাসিডিটি ও পেট খারাপের প্রবণতা হ্রাস পায়। একটি এলাচ থেঁতো করে এক কাপ হালকা গরম পানিতে গুলিয়ে প্রতিদিন খাবেন। এর ফলে পেটের যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। এভাবে খেলে আপনার ক্ষুধাও বৃদ্ধি পাবে।

শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে 

এলাচে থাকা ভিটামিন এ, বি, সি, নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাভিন রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ, যেমন বাড়তি ক্যালশিয়াম, ইউরিয়া ও অন্যান্য টক্সিনকে কিডনির মাধ্যমে বের করে দিয়ে শরীরকে পরিষ্কার করে ডি-টক্সিফাই করতেও এলাচ সাহায্য করে। যা এই সময়ে সুস্থ থাকতে খুবই প্রয়োজন।