• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

এবার ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২০  

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই আরেকটি বিপদ ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। ইতোপূর্বে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করেছিলেন আফ্রিকার হর্ন থেকে আশা এক বিশাল পঙ্গপাল ঝড় দক্ষিণ এশিয়ার কৃষিজমিগুলিতে আক্রমণ করবে। এমনই তথ্য দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু
ভারতের হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারত যখন প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই দেশটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেকটি ভয়াবহ বিপদ। এ গৃষ্মেই ভারতের কৃষি জমিগুলোতে হামলে পড়তে পারে পঙ্গপাল।

ভারতের সরকারি সূত্র জানায়, দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। একটি হচ্ছে চলমান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আর অন্যটি হচ্ছে পঙ্গপালকে প্রতিরোধ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হর্ন অব আফ্রিকা থেকে একদল পঙ্গপাল গতিপথে মরু অঞ্চলের আরেকদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হানা দিচ্ছে। এদের একটি ঝাঁক ইয়েমেন, কাতার, ইরান,  বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে হানা দিচ্ছে। আর একটি দল ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ঢুকছে। অন্যদলটি ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরেই এ দলটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়বে।

ইতোমধ্যে ভারতের নীতি নির্ধারকরা আশঙ্কা করছেন, উভয় ঝাঁকের সম্মিলিত হামলায় ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা সঙ্কটে ফেলতে পারে।

এদিকে, গত ২১ এপ্রিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, মরুর পঙ্গপাল যারা এ বসন্তে পূর্ব আফ্রিকা, ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইরানে হানা দিয়েছে। আফ্রো-এশীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও তারা বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশেও আক্রমণ হতে পারে পঙ্গপালের। এ আশঙ্কা ইতিপূর্বে দেশের কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হয়েছিলো।
 
বাংলাদেশে আসার বিষয়ে কৃষি অধিদপ্তরের আশঙ্কা করে যে, যেহেতু পঙ্গপালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাতাসের উষ্ণতার গতি অনুযায়ী চলাফেরা করে এবং এক জায়গার খাবার ফুরালেই নতুন জায়গার খোঁজ করে। আর একারণে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করেন।

উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছে পঙ্গপালের ইংরেজি নাম লোকাস্ট। বাংলায় এর নাম পতঙ্গ, এটি এক জাতের ঘাসফড়িং।  স্বভাবে কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ইঞ্চি খানেক দৈর্ঘ্যের এই পতঙ্গ। এরা খাবারের জন্য নিজ প্রজাতির সদস্যের সঙ্গে ঝাঁক বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়।

একেক ঝাঁকে ১০ লাখ থেকে কোটি পতঙ্গ থাকতে পারে। এরা একদিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার খেয়ে ফেলে। পঙ্গপাল যখন ফসলের ক্ষেতে আক্রমণ করে, তখন তা একজন কৃষকের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্নের বিষয় হয়ে ওঠে।