• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বিএনপির আমলে দেশবাসীর ভরসা ছিল মোমবাতি!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২  

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সকল দেশের মতো বাংলাদেশেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় সরকারের সমলোচনা করছে বিএনপি। অথচ তাদের শাসনামলে দেশে একমাত্র ভরসা ছিলো মোমবাতি। বিজ্ঞজনরা বলছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির সমালোচনা করা সাজে না। কারণ তারা দেশবাসীকে বিদ্যুতের বদলে দিয়েছিল খাম্বা।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বিশ্ব বাজারে পুনরায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে গ্যাস সংকটে চাহিদার বিপরীতে দৈনিক গড়ে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে লোডশেডিং। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম স্বাভাবিক না হলে দেশে লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে মনে করছেন জ্বালানি সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় সুযোগ পেয়ে বসেছে দেশবিরোধী চক্র। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ দেশবাসী জানে, বিএনপির শাসনামলে দেশে বিদ্যুৎই ছিলো না! সে সময় দেশের একমাত্র ভরসা ছিল মোমবাতি।

তথ্যসূত্র বলছে, ২০০১ সালের সূক্ষ্ম কারচুপির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই জিয়া পরিবার জড়িয়ে পড়ে পাহাড়সম দুর্নীতিতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যোগাযোগ ও বিদ্যুৎখাত। শুধু বিদ্যুৎ সেক্টর থেকেই বিশ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছিলেন তারেক-মামুন চক্র। বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের নামে শুধু খাম্বা পুঁতে এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তারেক রহমান। এই দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে তারেককে ‘খাম্বা তারেক’ হিসেবেও ব্যঙ্গ করে থাকেন অনেকে।

এছাড়া রাজধানীর অদূরে টঙ্গির বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম পরিচালনা করে ‘নির্মাণ কনস্ট্রাকশন’ কোম্পানির কাছ থেকে তারেক রহমান ও মামুন ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নিয়ে তা সিঙ্গাপুরে পাচার করেন। কানাডার কোম্পানি নাইকোকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে বিপুল অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তারেক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিলো।