• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ভারতীয় এক ছাত্রীকে খুঁজছে এফবিআই, সন্ধান দিলে দেবে পুরস্কার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩  

আমেরিকায় পড়তে যাওয়া এক ভারতীয় ছাত্রীর ব্যাপারে খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। ময়ূষি ভগত (২৯) নামের ওই শিক্ষার্থী বছর কয়েক আগে প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন। পরে হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যান। তাই ময়ূষিকে খুঁজছে সংস্থাটি। এমনকি তার ব্যাপারে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছে তারা।

এফবিআই জানিয়েছে, ময়ূষি এখন কোথায়, সে ব্যাপারে বিশদ তথ্য দিলে তথ্য প্রদানকারীকে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার হিসেবে দেবে তারা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ লাখ টাকার সমান।

কিন্তু একজন নিখোঁজ ভারতীয় ছাত্রীর জন্য এত অর্থ কেন খরচ করতে চায় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা?

ময়ূষি উধাও হয়েছিলেন বছর চারেক আগে। তাকে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল শেষ বার দেখেছিলেন তার প্রতিবেশীরা।

নিউ ইয়র্কে পড়াশোনা করলেও ময়ূষি থাকতেন নিউ জার্সির একটি অ্যাপার্টমেন্টে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাকে সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই একটি কালো টি-শার্ট পরে বাইরে বেরোতে দেখেছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তার পর আর ময়ূষির খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০১৯ সালের ১ মে ময়ূষির পরিবার তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন জার্সি সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে। তার পর সাড়ে চার বছর কেটে গেলেও ছাত্রী নিখোঁজ রহস্যের কোনো কিনারা হয়নি।

সম্প্রতি সেই তদন্তেরই দায়িত্ব নিয়েছে এফবিআই। এ ব্যাপারে জার্সি সিটি পুলিশের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি জনগণেরও সাহায্য চেয়েছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

গত জুলাই মাসেই ময়ূষির নাম এফবিআই নথিভুক্ত করেছে তাদের নিজস্ব নিখোঁজ তালিকায়। ওয়েবসাইটের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ পেজে তার ছবি পোস্ট করে জনগণের সাহায্য চেয়ে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে তারা।

কিন্তু কে এই ময়ূষি? পুলিশের রেকর্ড বলছে, ১৯৯৪ সালে ভারতে জন্ম এই তরুণীর। ২০১৬ সালে এফ ওয়ান স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তিনি আমেরিকায় যান। ভর্তি হন নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে।

শ্যামলা রঙের দীর্ঘাঙ্গি ময়ূষির উচ্চতা সাধারণ ভারতীয় মেয়েদের থেকে অনেকটাই বেশি— ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। তার চোখের মণি বাদামি রঙের। চুল কালো।

ইংরেজি, হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন ময়ূষি। তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, গত তিন বছরে আমেরিকায় থাকাকালীন নিউ জার্সি এবং দক্ষিণ প্লেনফিল্ডে বেশ কিছু বন্ধুবান্ধবও হয়েছিল তার।