• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

দেবতা ভেবে পুজো করতেন ডাইনোসরের ডিমকে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩  

কয়েকটি পাথর সাদৃশ্য বস্তুকে ‘কুলদেবতা’ ভেবে বহু বছর ধরে পুজো করে আসছিল ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দারা। সম্প্রতি জানা গেছে, সেই পাথর সদৃশ বস্তুগুলো আসলে ডাইনোসরের ডিম।

মধ্যপ্রদেশের ধার জেলা ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত। এই জেলারই অন্তর্গত পাড়ল্যা গ্রামে ভীল সম্প্রদায়ের বাস। বাসিন্দারা কয়েকটি পাথর সদৃশ বস্তুকে বংশ পরম্পরায় পুজো করে আসছিল দীর্ঘকাল ধরে। যেটাকে তারা তাদের কুলদেবতা ‘কাকর ভৈরব’ বলে।

তাদের বিশ্বাস, শিলাকৃতির কাকর (যার অর্থ জমির সীমানা) ভৈরব (ঈশ্বর) জমি ও গবাদি পশুর রক্ষা করেন এবং দুর্দশা নির্মূল করেন। কিন্তু তাদের অনেকের ধারণাই ছিল না, যে গোলাকৃতির বস্তু তারা নিজেদের চাষাবাদের জমির সীমানায় রেখে পুজো করছেন, সেটা আসলে ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম।

পাড়ল্যার বাসিন্দা ভেস্তা মান্দোলাই বলেন, ‘কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমরা জানতামই না, ওই শিলা আসলে ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম। কত বছর ধরে আমরা কাকর ভৈরব বলে এর পুজো করে আসছি তার ইয়ত্তা নেই।’

কিন্তু এগুলো যে আসলেই ডাইনোসরের ডিম তা কিভাবে জানা গেল। নর্মদা ভ্যালি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে খননকার্য হয়েছে। খননকালে বিভিন্ন সময় ডাইনোসরের থাকার জায়গা, তাদের ডিমের জীবাশ্ম, হাঙরের দাঁতের জীবাশ্ম আরও অনেক কিছু উদ্ধার করেছেন জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিশাল ভার্মা যিনি পেশায় পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। এ পর্যন্ত তিনি ২৫৬টি ডাইনোসরের ডিম উদ্ধার করেছেন।

বিশাল ও তার মতো অন্যান্য জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞদের নিরলস প্রয়াসের ফলে ওই অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক ও ভূতত্ত্বগত গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষ জেনেছে। পাড়ল্যা ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা জীবাশ্ম হতবাক করেছে ভেস্তা-সহ ভীল সম্প্রদায়ের অনেককেই।

তারা জানিয়েছেন, গোলাকার শিলা যাকে বংশপরম্পরায় পুজো করা হয়, সেটা আসলে টাইট্যানো-স্টর্ক প্রজাতির ডাইনোসরের ডিম।