যেভাবে সূচনা হয় প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম টাকশালের
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২২

নবাবী আমলে মুর্শিদাবাদে টাকশাল ছিল। মুদ্রা তৈরির কারখানাকে বাংলায় বলে ‘টাকশাল’। ইংরেজিতে একে বলে মিন্ট ‘Mint’। তবে আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা কিভাবে সূচনা হয়েছিল প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম সেই টাকশালের।
দেওয়ান মুর্শিদকুলি খাঁ ‘মুকসুদাবাদের’ নাম বদলে জায়গার নাম রাখেন ‘মুর্শিদাবাদ’। বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য প্রচুর মুদ্রার প্রয়োজন সে কথা বুঝতে পারেন দেওয়ান মুর্শিদকুলি এবং সহযোগী শেঠ মানিকচাঁদ। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, পাটনা থেকে মুদ্রা তৈরি করে আনার খরচ অনেক বেশি, সেই জায়গায় তারা নিজেরাই যদি মুর্শিদাবাদে একটি টাকশাল বানিয়ে নেন তাহলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমস্যার সমাধানও সম্ভব হবে।
মুর্শিদকুলি এবং মানিকচাঁদের যৌথ প্রয়াসে মুর্শিদাবাদে গড়ে ওঠে বাংলার টাকশাল। মানিকচাঁদের কুঠি যেখানে ছিল, সেই মহিমাপুরের অন্যপারে গঙ্গানদীর তীরে একটি টাকশাল স্থাপিত হয়। মানিকচাঁদ এবং মুর্শিদকুলির চেষ্টায় শ্রীবৃদ্ধি হয় টাকশালের। ধীরেধীরে এই টাকশাল হয়ে ওঠে বাংলার বৃহত্তম টাকশাল। এই টাকশাল থেকে মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ, দ্বিতীয় আলমগীর ও দ্বিতীয় শাহ আলমের নামের মুদ্রাও তৈরি হয়েছিল এক সময়।
মুর্শিদাবাদের এই টাকশালটি ঠিক কোথায় ছিল সে সম্পর্কে গবেষকদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেন টাকশালটি প্রথমে ছিল নদীর ওপারে ইচ্ছাগঞ্জের ঠিক বিপরীত দিকে। পরে সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল ইমামবাড়ার কাছে। আবার কেউ বলেন, টাকশালের সেই জায়গায় বর্তমান ইমামবাড়ার পশ্চিমাংশ নির্মাণ করা হয়েছে। ইমামবাড়ার সামনের ঘাটটির নাম ‘মিন্টঘাট’। অনুমান এক সময় সেখানেই নাকি ছিল টাকশাল।
আবার কেউ কেউ বলেন টাকশাল দেখাশোনার দায়িত্ব যেহেতু জগৎশেঠের উপর ছিল, সেহেতু টাকশালটি ছিল জগৎশেঠদের বাড়ির কাছাকাছি। বর্তমানে জগৎশেঠদের সেই বাড়ি নদীগর্ভে, বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে টাকশালও তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। নবাবি আমলে জগৎশেঠ পরিবার সোনা-চাঁদির একচেটিয়া কারবার করতেন এবং নবাবকে তা সরবরাহও করতেন। তার জন্য তারা বাট্টা ও কমিশন পেতেন। টাকশালের দৌলতে শেঠদের ব্যবসা আরো ফুলেফেঁপে ওঠে।
যে কেউ সোনা-রুপো কিনে নবাবি টাঁকশালে দিলে তা থেকে মোহর বা টাকা তৈরি করে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু সেই কাজের জন্য তাকে দিতে হতো কমিশন। সেই কমিশনের কিছু অংশ জগৎশেঠও পেতেন। বাকি পেতেন নবাব। ইংরেজ, ফরাসি, ডাচ কুঠির সাহেবরাও এক সময় নবাবি টাকশাল থেকে মুদ্রা তৈরি করিয়ে নিতেন। প্রাপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭২৫ সালে মুর্শিদাবাদের টাকশালে মিন্ট ডিউটি বা টাকশালে কমিশন বাবদ আদায় হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। ভাবা যায়! বছর-বছর এর চেয়েও বেশি মুনাফা পেতে থাকেন নবাব। ধীরেধীরে বাংলার একচেটিয়া বৃহত্তম টাকশালে পরিণত হয় এই মুর্শিদাবাদের টাকশাল।
বাদশা ঔরঙ্গজেবের নাম দিয়ে তৈরি মুর্শিদাবাদে টাকশালের টাকা পাকিস্তানের লাহোর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় শাহ আলম-এর রাজত্বের দশ, এগারো ও উনিশ বছর পূর্তিতে তার নামাঙ্কিত মুদ্রা মুর্শিদাবাদের টাকশাল থেকে বের হয়েছিল। যে মুদ্রাগুলো ছিল পুরোপুরি দেশিপ্রথায় তৈরি। মোহরের একপিঠে ছিল ফার্সি ভাষায় লেখা বাদশার নাম এবং অপর পিঠে লেখা ছিল ‘জবরে মুর্শিদাবাদ’ বা ‘জলুষ ১৯’। এই ছাঁচ আর পরবর্তীকালে বদলানো হয়নি।
পরে বাংলার রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরিত হলে মুর্শিদাবাদের টাকশাল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতার টাকশালে মুদ্রা তৈরি করলেও বহুদিন যাবৎ মুর্শিদাবাদের টাকশালের নাম ও প্রতীক ব্যবহার করত। এখানকার মুদ্রা চেনার সহজ উপায় ছিল যুঁইফুল ছাপ। যা ছিল বিখ্যাত।
শোনা যায়, মানিকচাঁদের মৃত্যুর পর তার ভ্রাতুষ্পুত্র রঘুনন্দন টাকশালের অধিকর্তা হন। প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুদ্রা তৈরি অব্যাহত ছিল এই টাকশালে। তারপর একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যায় বাংলার বৃহত্তম টাকশাল।
- গাফফার চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন
- নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণের চুক্তি ১৫ লাখে!
- রোহিঙ্গা ঠেকাতে কঠোর ‘হুঁশিয়ারি’ ইসির
- কুসিকে পাঁচ মেয়রপ্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ
- ‘কোটি কোটি মানুষের কাছে পদ্মা সেতু স্বপ্নের চেয়েও বড় কিছু’
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু ২২ মে
- আবারো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জয়ার হাতে
- গরমে ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন
- লবণ খেয়েই কমবে ওজন, জানুন পদ্ধতি
- চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৬ জুন
- জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান মেয়র আতিকের
- শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করাতেই উন্নয়ন ও অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়: সেতুমন্ত্রী
- প্রাণ জুড়াক ফলের শরবতে
আনারসের শরবত - আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
- প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই
- টেকনাফে আইসসহ এক রোহিঙ্গা আটক
- বঙ্গবন্ধু টানেলের টোলও আদায় করবে চীনা কোম্পানি
- মঙ্গলে ‘অবসরে যাচ্ছে’ নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার
- চট্টগ্রামে চার হাজার কেজি পলিথিন জব্দ
- ঢাকার ২ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরিশালে গ্রেপ্তার
- যে তিন শ্রেণী বাড়াচ্ছে ডলারের দাম
- মৈত্রী ও বন্ধন চালু ২৯ মে, মিতালী ১ জুন
- আসামে বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু
- টম ক্রুজের সম্মানে কানের আকাশে যুদ্ধবিমান!
- চট্টগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ৫
- তাইজুলের জোড়া আঘাত, উল্লাসে মাতল চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম
- সেন্টমার্টিন থেকে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারসহ ৩৩ রোহিঙ্গা উদ্ধার
- ডলারের দাম কিছুটা কমেছে, আরও কমবে
- সুনামগঞ্জের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
- অতিরিক্ত মদপানে তরুণীর মৃত্যু, দুই বন্ধু আটক
- বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- প্রেসিডেন্ট আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা ওড়ানো বীর শহীদের মায়ের ইন্তেকাল
- অপহরণের পর টাকা হাতিয়ে নেন ল্যাংড়া মামুন, রয়েছে টর্চার সেল
- মাদারীপুরে গৃহহীন ৩৭টি পরিবার পেল নতুন ঘর
- ১১ যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে গেলো স্পিডবোট
- সমৃদ্ধ দেশ গঠনে মুহিতের অবদান জাতি স্মরণ করবে: রাষ্ট্রপতি
- নিউমার্কেটে নিহতের দুদিন পর বিএনপির শোক!
- টিআইবি ইদানিং কথায় কথায় বিবৃতি দেয়: তথ্যমন্ত্রী
- ফেতরা দিন সঠিক নিয়মে
- নিউমার্কেটে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে কক্সবাজারে চাকরি খুঁজছিলেন তারা
- রোজায় প্রতিদিন ৫০০ মণ সলপের ঘোল-মাঠা বিক্রি
- ঈদের আগে নখের যত্ন
- অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিধবার আশ্রয়ণের ঘরে তালা, আটক-১
- তেঁতুলতলা মাঠে থানা হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঈদের বিশেষ রেসিপি
গরুর মাংসের কালা ভুনা - পকেটে ২৪ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন যুবক
- সাবমারসিবল পাইপে আসছে ইয়াবা
- বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ আজই রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে
- সায়েদবাদে শ্যামলী-ইকোনো-এনা পরিবহনকে জরিমানা
- লাইলাতুল কদরের রাত চেনার সহজ পাঁচ উপায়
- ‘গুড বাই বাংলাদেশ’ স্ট্যাটাসের পর বিমানবন্দরে গ্রেফতার ডাকাত সর্দার
- মাদারীপুরে দুগ্ধজাত পণ্য প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
- ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
- সৃষ্টি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ , যা জানালো আবহাওয়া অফিস
- মাদারীপুরে ৩৩ জন পেলেন পুলিশে চাকরি
- ঈদ জামাত ঘিরে শোলাকিয়ায় বিশেষ নিরাপত্তা, নজরদারিতে ড্রোন
- দৌলতদিয়ায় ৮ কিলোমিটার জুড়ে যানজট
- উত্তরে ঈদযাত্রায় নেই যানজট, স্বস্তি যাত্রীদের
- রকমারি ইফতার
কাঁচা আমের শরবত