• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বাবা-ছেলেকে আটকে ‘১২ মিনিট’ চলে নির্মম নির্যাতন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩  

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ও তার বাবাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। পরে নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
শিশু নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মো. কুতুবউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিওতে অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিনের সঙ্গে তার স্কুলশিক্ষিকা বোনকেও দেখা যায় নির্যাতনকারীদের সঙ্গে অংশ নিতে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ডাস্টার হাতে নির্যাতনের সূচনা হয় ওই স্কুল শিক্ষিকার হাতে। একেক-কে এক আমায় ছুঁয়ে দেখ; বলে ডাস্টার দিয়ে মারার পর শিশুটির ওপর হামলে পড়ে অন্যরা। এর পাঁচ মিনিটের মাথায় তার বাবার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ১২ মিনিটের ভিডিও’র একেবারে শেষে দেখা যায় মাথার চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে শিশুটির বাবাকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে টেনে নিচ্ছেন ওই নারী।

পুরো ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। ওই কিশোর ও তার বাবা পৃথক জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরের মা প্রবাসে রয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই কিশোরের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ বোনকে যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন বাবা ও ছেলে। এ অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে কয়েকজন যুবক ও যুবতী মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করেন। পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি তোলা হয়।

মধুখালী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে সোমবার মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রধান অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, অতি শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমরা ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও শিক্ষকরা জড়িত আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।