• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত আসিফ নজরুল

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২  

নারী এবং আসিফ নজরুল যেন একই বৃন্তের দুটি ফুল। বারবার তার নারী দুর্বলতার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে তার বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডও। সম্প্রতি এই বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে আবারও এলেন আলোচনায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, সরকার সম্ভব হলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, সরকার ঘোষণা করেছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৩ জুন খুলবে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং খোলা মাত্রই শিক্ষার্থীরা পাবে ১ হাজার টাকা উপহার। পাশাপাশি অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের স্থগিত সব পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ দিবালোকের মতো এই সত্যকে বিকৃত করে জনসম্মুখে উপস্থাপন করে তিনি স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রের তাঁবেদারি করেছেন। নীতিহীন-চরিত্রহীন হয়েও জনসম্মুখে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তিনি ধোয়া তুলসী পাতা। বাকীরা সব দোষী। কিন্তু আসলেই কি তাই!

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, আসিফ নজরুল তার শিক্ষকতা জীবনের শুরু থেকেই ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত-মৌখিক অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু বরাবরই তিনি একটি ‘বিশেষ মহল’র ইশারায় পার পেয়ে গেছেন। পরে আবারও খেলেছেন মেয়েদের জীবন নিয়ে। এমনকি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েও তিনি একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের সহপাঠী বান্ধবীসহ এলাকার মেয়েদের সঙ্গে গড়েছেন অবৈধ সম্পর্ক। অনলাইনে সেসব অপকর্মের ভিডিও ফাঁসও হয়েছে। ভিডিও ফাঁসের পর কিছুদিন সুবোধ বালকের মতো নিরব থাকলেও বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় তিনি পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন আরও বেপরোয়া। শুধু তাই নয়। নিজের এসব অপকর্মের কথা সগর্বে-সহোস্যে বিভিন্ন সময় ঘরোয়া আয়োজনে বলেতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

এখানেই শেষ নয়। তিনি বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ‘পেইড এজেন্ট’ হয়ে বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের সমন্বয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেন। পাশাপাশি সরব থাকেন রাজপথেও। যারই ধারাবাহিকতায় তিনি এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে প্রোপাগাণ্ডামূলক বক্তব্য দিয়ে মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেয়ার পাঁয়তারা করেছেন। কিন্তু সচেতন মানুষ তা আমলে না নিয়ে বরং তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ, তারা জানেন করোনার এই মহামারিকালে যখন প্রতিনিয়তই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছেন কেউ না কেউ, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাবে। যেটা এতোদিনে লকডাউনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসিফ নজরুলের লাম্পট্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এ কথা সবাই জানেন। কিন্তু তিনি একটি ‘বিশেষ মহল’র ছত্রছায়ায় থাকেন বলে, কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস পান না। কিন্তু পেছনে পেছনে ঠিকই তার কুকর্মের কথা বলেন।

রাজনৈতিক এই বিজ্ঞজনরা আরও বলেন, আসিফ নজরুল বরাবরই সরকারবিরোধী। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে দেশবাসী অনেকবার পেয়েছেন। কেননা সরকার এতো উন্নয়ন, এতো ভালো কাজ করছেন-কোন কিছুতেই তিনি খুশী নন। উপরন্তু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিথ্যাচারিতা ও বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তার এমন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অবিলম্বে সমুচিত সাজা হওয়া উচিত। নতুবা তার মতো অর্বাচীনরা দিনের পর দিন মূর্খতার পরিচয় দিয়ে এহেন ন্যক্কারজনক কাজ করবেন। একইসঙ্গে চাইবেন, সরকারবিরোধী উসকানি দিতে। তাই সরকারসহ আমাদেরকে সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।