• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বান্ধবীদের পটিয়ে চুরি করাই ছিল তার নেশা, বলছে পুলিশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১  

জীবিকা নির্বাহের জন্য নয় শখের বসে চুরি করেন তিনি। তাও আবার বান্ধবীর বাসা থেকে। এক বান্ধবীর কাছ থেকে চুরি করা টাকা খরচ করেন আরেক বান্ধবীর পেছনে।

প্রতি মাসে নতুন নতুন ব্রান্ডের গাড়ি মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দেন। মূল উদ্দেশ্য উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীদের আকৃষ্ট করা। তেমনই ভুক্তভোগী নারীর ৩৩ হাজার ডলার (২৮ লাখ ২৯ হাজার ৫ হাজার ৪ টাকা ৪৮ পয়সা) চুরির মামলায় তালহা ইউসুফ নামের সেই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

দশ মাস আগে তালহা ইউসুফ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তিলোত্তমার। দুজনেই রাজধানীর উত্তরার একটি বাসায় পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতেন। পরিচয়ের অল্পদিনেই তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়। একটি বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করার সুবাদে তিলোত্তমার বাসায় বৈদেশিক মুদ্রা থাকে, বিষয়টি জানত তালহা। হঠাৎ একদিন ৩৩ হাজার ডলার চুরি করে পালিয়ে যায় তালহা।
 
এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত তালহা ইউসুফ একজন পেশাদার চোর। তাকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন উচ্চবিত্ত পরিবার ও চাকরিজীবী মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক করে টাকা চুরি করাই তার পেশা।

চুরি হওয়া ৩৩ হাজার ডলারের মধ্যে ১০ হাজার ডলার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা সে খরচ করেছে আমোদ ফূর্তিতে। একাধিক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।
 
ডিবির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহান বলেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে তার বেশকিছু বান্ধবী ছিল। তাদের কাছে সে উচ্চবিত্ত ঘরের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিত।
 
পুলিশ বলছে, জীবিকা নির্বাহের জন্য চুরি করে না সে। চুরি করা তার এক ধরণের শখ। নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ি মাসিক ভাড়া নিয়ে নিজের দাবি করে আকৃষ্ট করত মেয়েদের।

ডিবির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, সে চুরি টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার করে এমন নয়, যে পথে সে চুরে করে সেই পথেই সে টাকাগুলো খরচ করেছে। এই প্রতারকের বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।