ব্যাংকের টাকা মেরে দেওয়াদের তালিকা
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ৩ মে ২০২৩
যারা ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা মেরেছে, পাচার করেছে- দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী এসব ঋণ খেলাপির তালিকা হচ্ছে। মেরে দেওয়া টাকা আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে।
সূত্র জানান, কয়েক বছরে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, কখনোই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই জনগণের টাকা লুটপাট ও পাচারকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। তারই অংশ হিসেবে ব্যাংকের টাকা মেরে দেশে-বিদেশে পলাতকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা মেরে দেশে অবস্থানকারী এবং বিদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বিচারের মাধ্যমে শাস্তি কার্যকর করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ খেলাপিদের ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। খেলাপি ঋণের অধিকাংশই মেরে দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশে পাচার হয়েছে। ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে উল্টো দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন তারা। বছরের পর বছর ব্যাংকের খাতায় ঋণ খেলাপি দেখানো হচ্ছে তাদের। অনেক ঋণ খেলাপি নিজেদের ফতুর দেখিয়ে আদালতের কাছে দেউলিয়া ঘোষণার আবেদন করেছেন। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বড় অংশই পাড়ি জমিয়েছেন দুবাইয়ে। সেখানে গড়ে তুলেছেন আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসা। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন অনেকে। বাড়ি-গাড়ি করেছেন থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে যাতে দেশ থেকে অর্থ পাচার না হয় সে জন্য এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছেন। আমদানি-রপ্তানির আড়ালে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাচার রোধে কঠোর মনিটরিং করছে বাংলাদেশ ব্যাংকও।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার কর্মসূচি ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)’ প্রকল্পে অংশ নেওয়া সব দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এমএম২এইচ প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন মোট ৪ হাজার ১৩৫ জন বাংলাদেশি। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন ২৫০ জন বাংলাদেশি। মালয়েশিয়ায় বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের পরই আছেন বাংলাদেশিরা। কানাডায় বাংলাদেশিদের আবাসিক এলাকা বেগমপাড়া হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকেই। ব্যাংকের টাকা মেরে দেশে এবং বিদেশে অবস্থানকারীদের বিষয়ে সরকারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে আড়াই বছর আগেই। ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে অর্থ পাচারকারীদের সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, আমরা বিদেশে অর্থপাচারের তথ্য সংগ্রহ করছি। তবে পাচারে শুধু কানাডা নয়, মালয়েশিয়াতেও একই অবস্থা। তবে তথ্য পাওয়া খুব কঠিন। আসছে জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার ব্যাংকের টাকা মেরে দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজও শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর ব্যাংক খাতে আরেকটি আলোচিত ঘটনা ছিল বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি। গ্রুপটি ছয়টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। বরং গ্রুপটির এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার ঋণ পরিশোধ না করে রাতারাতি পাড়ি জমান বিদেশে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে বিসমিল্লাহ গ্রুপ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। পরে ভুয়া এলসির মাধ্যমে পুরো অর্থই বিদেশে পাচার করে। বিসমিল্লাহ গ্রুপের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ফলে খাজা সোলায়মানসহ এর বেশির ভাগ শীর্ষ নির্বাহী বিদেশে পালাতক রয়েছেন। এর মধ্যে বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলায়মান আনোয়ার ও চেয়ারম্যান নওরিন হাবিবসহ গ্রুপের কিছু কর্মকর্তা এখন দুবাইয়ে বসবাস করছেন। সেখানে তারা একটি অভিজাত হোটেলের ব্যবসা করছেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অর্থ পাচারের অভিযোগ পেলেই দুর্নীতি দমন কমিশন আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা টাকার হিসাব বিবরণি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার বাড়ে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই বছর শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বেশি। ২০১৭ সাল শেষে জমার পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা। একইভাবে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের বছরে পাচার হয়েছে ২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। ২০১৩ সাল শেষে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। আগের বছর ২০১২ সাল শেষে জমার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। গত বছরের ১৬ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক বছরে সুইস ব্যাংকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ জমা করেছেন বাংলাদেশিরা। আর ২০২১ সাল পর্যন্ত জমা করা টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে ছিল ৫ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের প্রথমেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী নির্বাচনের আগে দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পাচার রোধে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। পাচারকারীদের দু-একজনের শাস্তি দিয়ে বিচার বিভাগকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে অন্যরা দেখে ভয় পান। কোনো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলেও ওই গ্রুপেরই অন্য প্রতিষ্ঠান ঋণ পাচ্ছে। গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের বীমা-সুবিধা বাতিল করতে হবে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত