যে কোনো অর্জনেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়: প্রধানমন্ত্রী
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩
মহান অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগ প্রয়োজন–বঙ্গবন্ধুর এ কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনো অর্জনেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে কোনো অর্জনের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছি বলেই আমাদের অর্জনগুলো একে একে জনগণের কল্যাণে আনতে পেরেছি।
‘একটা সময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলতে ভয় পেত। তারা মুক্তিযোদ্ধা বললেই অবহেলার স্বীকার হতো। সেটা সরকারি হোক বা বেসরকারি হোক - সব ক্ষেত্রেই এক অবস্থা ছিল। সেখান থেকে তাদের উত্তরণে কাজ করে চলেছে বর্তমান সরকার। আমাদের এই মহান স্বাধীনতায় যারা জীবন দিয়ে গেছেন, রক্ত দিয়ে লিখে গেছেন আমাদের স্বাধীনতার নাম, তাদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না; আমরা বৃথা যেতে দেব না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। মানুষের এ আত্মত্যাগ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।'
পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে তখনই কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। কারণ ক্ষমতাকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ হিসেবেই দেখি। এর মাঝে অনেক চড়াই-উতরাই, অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এটুকু বলতে পারি, ২০০৮-এ নির্বাচিত হয়ে ২০২৩ - এ একটানা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজকের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের কাজ শুরুর পর যখন মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের। সেই সময়টাতেই দেশ আসলে চরম আঘাতের সম্মুখীন হয়, থেমে যায় দেশের অগ্রযাত্রা। থেমে যায় স্বাধীনতার চেতনা; বিকৃত করা হয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে। বাংলাদেশ আবার থমকে দাঁড়ায়। রক্তস্নাত স্বাধীনতা কখনও বৃথা যেতে পারে না; যেতে দেয়া হবে না। স্বাধীনতা পুরস্কারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবার পাশে থেকে দেখেছি কীভাবে তিনি দেশের মানুষের কথা ভাবতেন। কীভাবে দেশ গঠন করার কথা চিন্তা করতেন। সেই অনুপ্রেরণা থেকেই দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। যে আদর্শ ও চেতনা নিয়ে এ দেশটি স্বাধীন হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটা সময় মুক্তিযুদ্ধে অবদানকারী অনেক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। যে নেতারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাদেরকেও (জাতীয় চার নেতা) জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা-খুনই ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে। গণতন্ত্রের পরিবর্তে আসে মার্শাল ল। তখন মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। মুষ্টিমেয় মানুষকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, তাদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করা হতো। জনগণের কোনো অধিকার ছিল না, এটাই ছিল বাস্তবতা।
দীর্ঘ ৬ বছর পর দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাই। তখন বাংলাদেশের হাটে-ঘাটে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে বিচরণ করি, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিজ চোখে দেখেছি। বাবার বড় সন্তান হওয়ায় তার দেশ গঠনের সব চিন্তাভাবনা জানতাম। তাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বাবার নীতি অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছি বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে আবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। পঁচাত্তর সাল থেকে বারবার গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি। রাজনীতি স্থিতিশীল থাকতে পারেনি। কাজে, বাংলাদেশ সেভাবে এগুতে পারেনি। যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে নিয়ে কী চিন্তা করে; সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক দেশ, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, তাদের বক্তব্য ছিল; এ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে? এটা ছিল তাদের ধারণা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। আমরা যা করছি সব পরিকল্পিতভাবে করছি। আমাদের সরকার সবসময় গবেষণায় জোর দিচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় আমরা জোর দিয়েছি।’
করোনার ক্ষতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে পণ্য দিচ্ছি। আমরা ভর্তুকি দিয়ে রমজানের পণ্য তাদের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা মানুষের কষ্ট যখন দেখি, তখন তা কীভাবে লাঘব করব - সেই কাজ করছি।’
নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে তখন বলেছিলেন বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি। আমরা বলেছিলাম, নিজেদের টাকায় সেতু করব। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই দেশের বর্তমান উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। অতীতের সরকারগুলোর দেশ নিয়ে কী ধারণা ছিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় আছে বলেই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে, তাই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার যেখানে ৪০ ভাগের ওপরে ছিল সেখানে আমরা কমিয়ে এনেছি ২০ ভাগে। আরও একটি সুখবর দিতে পারব, আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। যেটা সঠিকভাবে এখন তথ্য নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছি, এটাকে ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি।
‘কারণ আমরা যা করেছি, সবকিছু পরিকল্পিতভাবে করেছি। কোনো কাজ অ্যাডহোক বেসিসে নয়। এই পদক্ষেপ নিলে আমার দেশ কোথায় যাবে, কতটুকু আমরা এগোতে পারব, গণমানুষের কতটুকু উন্নতি হবে - এমন একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। একদিকে যেমন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা; প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, তারই সঙ্গে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং ঠিক জনগণের কাজে কী লাগবে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত