• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুরে মঞ্চায়িত হলো নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২১  

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

মাদারীপুরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ওপর রচিত নাটক ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ মঞ্চস্থ হয়েছে। সোমবার রাতে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে পাঁচ শতাধিক দর্শকের উপস্থিতিতে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমানের পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্য সংকলনে বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদল নাটকটি মঞ্চায়ন করে। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুর রহমান।

১৫ আগস্টে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাকা- বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘৃণ্যতম ঘটনা। ১৫ আগস্টের ভোরের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের করুণ আলেখ্য এবং পূর্বপর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ নাটকে।

ইতিহাসের খলনায়ক খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে ঘাতক চক্রের সদস্য মেজর ফারুক, মেজর রশীদ, ডালিমসহ পর্দার আড়ালে থাকা কুশীলবদের ভূমিকাও নাটকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের বীজ বপন, বঙ্গবন্ধু হত্যা, ক্ষমতা দখলের নীলনকশা তৈরি ও সেই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির গোপন পৃষ্ঠপোষকতা উঠে এসেছে মঞ্চস্থ এ নাটকে। একই সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পর্যন্ড ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের কর্মব্যস্ততার চিত্র। সেই বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের সময় নর-নারী ও শিশুর করুণ আর্তনাদে চিৎকার। মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িটি একটি বিভৎস মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। এ নির্মম দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে দর্শকরা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে।

নাটকের দর্শক মাদারীপুর স্টেডিয়ামের প্রবীন ক্রীড়াবিদ ত্রিনাথ দাস বলেন, ‘নাটকে ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড, করুণ আর্তনাদ, ষড়যন্ত্রসহ সবদিক সুচারুভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা দর্শক হিসেবে আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। এ নাটক দেখে আমার মতো অনেকেই তাদের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।’

কলেজশিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, নাটকটি দেখে প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি সেদিন বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ওপর নরকীয় হত্যাযজ্ঞের বাস্তব ঘটনা। নাটকের এ নির্মম দৃশ্য দেখে আমি কেঁদেছি। এ ঘটনা আমাদের কলঙ্কিত করেছে।’

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ঐতিহাসিক এমন ঘটনা মঞ্চে আনা সহজ কাজ নয়। নাটকের কলাকুশলী, গল্পকার ও নির্দেশক সকলের প্রতি তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা, জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, মাদারীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।