• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

লিবিয়ায় মানবপাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০  

র‌্যাব-৮ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মোটা অংকের বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার করছে। উক্ত চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশ, লিবিয়া ও ইতালিতে সমভাবে সক্রিয়। এদের শিকার মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সের বেকার যুবকরা।

চক্রটি বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে যুবকদের লিবিয়ায় পাচার করে থাকে। পরবর্তীতে লিবিয়ায় অবস্থানরত চক্রের সদস্যরা লিবিয়ার বন্দিশালায় তাদেরকে আটক রেখে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং উক্ত বন্দীদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে লিবিয়া হতে নৌকাযোগে অবৈধ পন্থায় ইতালিতে গমনের সুযোগ করে দেয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে বন্দীপ্রতি উক্ত চক্রটি পাঁচ থেকে দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করে বলে র‌্যাব জানতে পারে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ এর একটি চৌকষ দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আজ ১৫ জুন দিবাগত রাত ১২:৩০ টার দিকে রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানাধীন তেরখাদিয়া গ্রাম এলাকা হতে ১। নাসির বয়াতী(২৭), পিতাঃ হানিফ বয়াতী, ২। হানিফ বয়াতী(৬০), পিতাঃ মৃত মমিন উদ্দিন বয়াতী, উভয় সাং-উত্তর আড়াইপাড়া, থানাঃ রাজৈর, জেলাঃ মাদারীপুরদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেন এবং প্রাপ্ত তথ্য সমূহের সত্যতা পাওয়া যায়। ধৃত আসামী নাসির বয়াতী ও হানিফ বয়াতী দালাল চক্রের মূলহোতা রেজাউল বয়াতী(৩৮) এর সাথে যোগসাজসে অবৈধভাবে লিবিয়ায় বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন উপায়ে মানব পাচার করে। নাসির বয়াতী ও হানিফ বয়াতী বাংলাদেশ হতে লিবিয়ায় মানব পাচারের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ও লোক সংগ্রহের কাজ সম্পাদন করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে রাজৈর থানার মামলা নং-০৭, তারিখঃ ০৪/০৬/২০২০ খ্রিঃ, ধারাঃ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৭/৮/১০(১) তৎসহ ৩০২/৩৪ দঃবিঃ আইনে মামলা রেেয়ছে। আটককৃত আসামীকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাম্প্রতিককালে মানব পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপর গভীর নজরদারী রাখা এবং প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে মানব পাচার চক্রের অন্যান্য সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৮ এর অপারেশন তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।