• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মাদারীপুর র‌্যাবের হাতে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২  

মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুর র‌্যাব ৮ অভিযান চালিয়ে ঢাকার গুলশান ও মিরপুর ২ হতে আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল(৪০) এবং শহিদুল ইসলাম(৪১) নামের
দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তারা শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার আজিজুর রহমান মাসুম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। রোববার(১১ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। সোমবার(১২ ডিসেম্বর) বিকেলে র‌্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার বিশাকুড়ি এলাকার মোঃ আলী দেওয়ান নামের এক ব্যক্তির পুকুর পাড়ে মাদক সেবন করতে বসে আজিজুর রহমান মাসুমসহ আরো তিন/চারজন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে তিন/চরজনে মিলে আজিজুর রহমান ওরফে মাসুমকে শ্বাসরোধ করে এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে লাশ গোপন করতে বস্তায় ভরে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। এর ২ দিন পর ২ অক্টোবর পুলিশ বস্তাবন্দী মরদেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোঃ জাকির হোসেন রকি(৪০) নামের একজনকে আটক করে ।
পরে গত ৩ অক্টোবর মোঃ আজিজুর রহমান ওরফে মামুন এর স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

র‌্যাব জানায়, আটককৃত ওই ব্যক্তির দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে রাসেল(৪০) এবং তার সহযোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪১) এর নাম প্রকাশ পায়। ঘটনাটি র‌্যারের নজরে আসলে র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প, র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় ছায়া তদন্ত  শুরু করে এবং গত রোববার বিকেলে অভিযান চালিয়ে আসামিদ্বয়কে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দলের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান,'গ্রেফতারকৃত আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল ডামুড্যা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বিশাকুড়ি এলাকার আবুল হোসেন দেওয়ান এর ছেলে এবং শহিদুল ইসলাম একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলম তালুকদারের ছেলে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।