• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

৭ শিশু: সাবেক ডিআইজি আনিসের স্ত্রীর জামিন স্থগিত

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

শিশুপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সাত সন্তানের মা-বাবা বলে দাবিদার পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আনোয়ারা রহমানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ।

২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল শিশুপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সাত সন্তানের মা-বাবা বলে দাবিদার পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অতিরিক্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান জামিনে গিয়ে পলাতক। অপর আসামি তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

এরপর আনোয়ারা রহমান হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্ট জামিন দেন। ওই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, অভিযুক্তরা দাবি করেছিলেন, তাদের মোট ১৪ সন্তান। তাদের মধ্যে সাতজন প্রায় একই বয়সের শিশু। ২০০৬ সালের ২ জুন বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তাদের বাসায় গেলে অভিযুক্তরা শিশু রহস্যের ঘটনার সঠিক তথ্য সরবরাহ না করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়।

ঘটনা প্রকাশ পেলে সাবেক ডিআইজি আনিস ১৪ জনকেই তাদের সন্তান দাবি করেন। জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী আনোয়ারা ওই শিশুদের মধ্যে ৩ জনকে জন্ম দেন আট মাস সময়ের মধ্যে।

আসামিরা সাত শিশুকে জমজ বলে দাবি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আদালত রায় দেন যে, সন্তানগুলো যমজ নয় এবং একই মায়েরও সন্তান নয়।

এ সম্পর্কে ২০০৬ সালের ২ জুন হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে শিশুগুলোকে পাচারের উদ্দেশ্যে এনে জড়ো করা হয়েছিল এমন অভিযোগ এনে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।  

২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারক মামলাটি বিচারের জন্য আমলে নেন।